বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজকের মামলার প্রস্তুতি

চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত
চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত

শুটিং শেষ না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে শাকিব খান অভিনীত কয়েকটি সিনেমা। ওসব চলচ্চিত্রের ২০ থেকে ৮৫ ভাগ শুটিং শেষ হওয়ার পর শিডিউল জটিলতার কারণে বাকি কাজ শেষ হয়নি। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রযোজকরা। তারা এখন দায়ী করছেন শাকিব খান। লোকসানের মুখে পড়া প্রযোজকদের কেউ কেউ শাকিবের নামে মামলা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে নিয়ে ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। বছরান্তে ছবিটির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়। কিন্তু এরপরই নায়ক-নায়িকার শিডিউল না পাওয়ায় আটকে থাকে শুটিং। ততদিনে প্রযোজকের খরচ কোটি টাকা! বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও বাকি শুটিং শেষ করে দিচ্ছিলেন না শাকিব খান। ২০১৮ সালের মার্চে ছবিটির প্রযোজক মনিরুজ্জামান—চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতি বরাবর শাকিব-অপুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। প্রযোজক তখন জানিয়েছিলেন, সমাধান না হলে আদালতে যাবেন, মামলা করবেন। সে বছর সমিতির নেতারা সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। তাই মনিরুজ্জামান এবার বললেন, ‘ভুল হয়েছে, ২০১৮ সালেই মামলাটা করা উচিত ছিল। আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পেতাম। কেননা আমি সঠিক পথে ছিলাম, এখনো আছি।’

প্রযোজক জানান, শাকিবের পারিশ্রমিক তখন ১৫ লাখ টাকা ছিল। শুটিং শুরুর আগেই এক চেকেই পুরো টাকা দেওয়া হয়েছিল নায়ককে। পরে চুক্তির বাইরে শাকিব খান আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রযোজক সিনেমাটির আরেক শিল্পীর মাধ্যমে সেই পরিশোধ করেছিলেন। এরপরও শাকিব শিডিউল দেওয়ার অঙ্গীকার রাখেননি। পাঁচ লাখ টাকা ফেরতও দেননি।

শাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করার ইঙ্গিত দিয়ে প্রযোজক বলেন, ‘আমার কাছে লিখিত সব ডকুমেন্টস আছে। মামলা করব। বাড়তি দেওয়া পাঁচ লাখ টাকাও আমাকে ফেরত দিতে হবে শাকিবকে।’

মেঘমালা কথাচিত্র প্রযোজিত ও জি সরকার পরিচালিত ‘লাভ ২০১৪’ সিনেমার ক্ষেত্রেও ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ২০১৪ সালে শুটিং শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির শেষ হয়নি। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, সিনেমার ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শাকিবের শিডিউলের আশায় অনেক বছর শুটিং বন্ধ আছে।

শাকিব খান ও শাবনূরকে নিয়ে ২০০৮ সালে নজরুল ইসলাম খান ‘স্বপ্নের বিদেশ’ সিনেমার কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে চলচ্চিত্রটির প্রায় ৮৫ ভাগ শেষ হয়। তবে ৯০টি দৃশ্যের মধ্যে ১৬টি দৃশ্য বাকি থাকে। শাবনূরের কাজ শেষ হয়। ওই সিনেমার পেছনে প্রায় ৫১ লাখ টাকা ব্যয় হয়। গল্পের প্রয়োজনে শাকিবকে নিয়ে বাকি দৃশ্যগুলো বরফের মধ্যে শুটিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু দেশের বাইরে গিয়ে বরফের মধ্যে শুটিংয়ের জন্য বড় বাজেট দরকার। শাকিব সাফ জানিয়ে দেন বরফের মধ্যে শুটিং না করলে শিডিউল দেবেন না তিনি। ১৫ বছর ধরে এভাবেই আটকে আছে সিনেমাটি।

শাকিব খানের শিডিউল না পাওয়ায় কয়েকটি ছবির কাজ শেষ হচ্ছে না, প্রযোজকদের এমন অভিযোগের জেবাবে শাকিব খানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১০

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১১

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১২

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১৩

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১৪

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৫

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৬

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

১৭

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

১৮

একাধিক উপকারিতা কাঠবাদামের, যাদের জন্য ক্ষতিকর

১৯

একই দিনে দুইবার পরিবর্তন, রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

২০
X