ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আয়োজিত ক্রিটিকস’ উইক-এর প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বমঞ্চে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন ডকুমেন্টারি ওয়েকিং আওয়ার্স। এটি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন পরিচালক ‘ফেডেরিকো কামারাটা’ এবং ‘ফিলিপ্পো ফোসকারিনি’।
রোমভিত্তিক প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠান ‘ভোলস ফিল্মস’ ইতালিয়া এবং রবার্তো মিনারভিনির কসমা ফিল্ম-এর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ডকুমেন্টারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আফগান মানুষ পাচারকারীদের সঙ্গে রাতের অন্ধকারে যাত্রার কাহিনি তুলে ধরে। চলচ্চিত্রে দেখা যায়, অবৈধ সীমান্ত পারাপারের জন্য সার্বিয়া এবং হাঙ্গেরি-এর মধ্যে অবস্থানরত একটি ক্ল্যান রাতের অন্ধকারে অপেক্ষা করছে।
সিনপসিস অনুযায়ী, ‘সীমান্তের ধারে আগুনের চারপাশে ছায়ার মতো মানুষদের দেখা যায়, দূরে বন্দুকের শব্দ ভেসে আসে। কাছেই ধাতব বেড়া ইউরোপের শুরু নির্দেশ করছে।’ নির্মাতারা বলেন, এই বনশিল্প কেবল পটভূমি নয়, বরং এক জীবন্ত বাস্তবতা—যেখানে বিভ্রান্তি, রূপান্তর এবং নাজুক আশ্রয়ের মিলন ঘটেছে।
ভোলস ফিল্মস ইতালিয়া-এর স্টেফানো সেনটিনি বলেন, ‘ওয়েকিং আওয়ার্স আমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এমন এক জগতের সঙ্গে যা আমরা সচরাচর দেখি না। পরিচালকরা বিষয়টিকে খুবই গভীরভাবে এবং ভিজ্যুয়াল অনুসন্ধানমূলক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন। এটি কেবল চরিত্রের কার্যকলাপ নয়, মানবিক অবস্থার সার্বজনীন দিকও ফুটিয়ে তোলে।’
প্রদর্শনের আগে প্রকাশিত প্রথম টিজার-এ প্রশ্ন করা হয়, ‘সীমান্ত পার হওয়া কেমন লাগলো?’—যা রাত ও আগুনের প্রেক্ষাপটে চিত্রায়িত হয়েছে।
লুমিনালিয়া-এর টমাসো প্রিয়ান্টে বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি কেবল বিষয়বস্তু নয়, উপস্থাপনার দিক থেকেও অনন্য। এটি অভিবাসন ও সীমান্তকে এমন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাচ্ছে যা আগে দেখা যায়নি। দর্শকরা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষের বাস্তবতা এবং সীমান্তের রহস্যময় জগতকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবেন।’
নির্মাতারা আরও জানান, এই চলচ্চিত্রে সিনেমা ভেরিটে এবং থিয়েটার শৈলীর মিশ্রণ ঘটেছে, যা দর্শকের কল্পনাশক্তি ও মনোযোগকে কেন্দ্র করে মানবিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে আরও প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরেছে। ওয়েকিং আওয়ার্স আফগান শরণার্থী ও সীমান্তরক্ষীদের জটিল ও বিপজ্জনক জীবনকে রাতের অন্ধকারে চিত্রায়িত করে, যা ভেনিস উৎসবে দর্শকদের মনোযোগ কাড়তে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন