দীর্ঘ তিন মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে দর্শনার্থী ও বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনে আশানুরূপ দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে।
এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৩৭ জন দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন করমজলে। দীর্ঘদিন পরে সুন্দরবনে ঘুরতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা।
বরিশাল থেকে আসা দর্শনার্থী আহসান হাবীব বলেন, অনেক দিন পরে সুন্দরবনে আসলাম। বানর, হরিণ ও কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখলাম খুবই ভালো লাগল।
নোয়াখালী থেকে আসা মো. সরোয়ার বলেন, সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অনেক দিন ধরে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সুন্দরবন বন্ধ; ১ সেপ্টেম্বর খুলবে। রোববার এসে মোংলায় থেকেছি। সোমবার সকালে আসলাম। সুন্দরবন ঘুরে খুবই ভালো লেগেছে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনে দর্শনার্থী আসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে বন বিভাগ। ফুটট্রেইল, ঝুলন্ত সেতু, ওয়াচ টাওয়ার, হরিণ ও কুমিরের শেড সবকিছুই সাজানো হয়েছে নতুন করে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে প্রথম দিনেই পাশ পারমিট নিয়ে হাজারো জেলে মাছ আহরণের জন্য রওনা দিয়েছেন সুন্দরবনে। জেলেদের আশা বন্ধ থাকায় তারা আশানুরূপ মাছ পাবেন।
শরণখোলা থেকে সুন্দরবনে যাওয়া জেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, তিন মাস বন্ধ ছিল। খুবই কষ্ট দিন কেটেছে। পাশ পারমিট নিয়ে আজকে বনে যাচ্ছি। আশা করি ভালো মাছ পাব।
সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রথম দিনে ২৫০টি নৌকায় পাশ পারমিট দেওয়া হয়েছে। একেকটি নৌকায় গড়ে দুই-তিনজন করে জেলে বনে প্রবেশ করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, জেলেরা যাতে বনের পরিবেশের ক্ষতি ও কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত না হয় সে জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া বিপদ এড়াতে প্রত্যেক জেলে নৌকায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়ি অফিসের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন