বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশি মাঙ্গা নিয়ে কপিরাইট দ্বন্দ্বে জয় পেলেন শান্তনা-শান্তুমা

বাংলাদেশি মাঙ্গা নিয়ে কপিরাইট দ্বন্দ্বে জয় পেলেন শান্তনা-শান্তুমা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশি মাঙ্গা নিয়ে কপিরাইট দ্বন্দ্বে জয় পেলেন শান্তনা-শান্তুমা। ছবি : সংগৃহীত

মাঙ্গা বা জাপানি কমিক্স আর্টফর্ম বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সমাদৃত ও পরিচিত। সারা বিশ্বে মাঙ্গার বাজার প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাঙ্গা জাপানে শুরু হলেও বর্তমানে আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিজস্ব শিল্পী দ্বারা দেশীয় মাঙ্গা প্রস্তুত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে শান্তনা -শান্তুমা শিল্পীযুগল প্রথম বাংলাদেশি মাঙ্গা প্রকাশ করেন। তারা ২০১০ সাল থেকে মাঙ্গার চর্চা করতেন।

২০১৮ সালে তারা দেশীয় মাঙ্গা চর্চা ও প্রকাশের জন্য ‘মাংগা স্টেজ’ নামে কেবল মাঙ্গার জন্যই একটি প্রকাশন চালু করেন। পাশাপাশি স্বনামধন্য বেশ কিছু পাবলিকেশনস তাদের অঙ্কিত মাঙ্গা নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে।

হঠাৎ ২০২৩ সালে ফোরনেটশা বাংলাদেশ লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান সোর্স নামক একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করে এবং সেখানে তাদের প্রকাশিত মাঙ্গাগুলোকে দেশের প্রথম মাঙ্গা বলে দাবি করে। ব্যাপারটি শান্তনা- শান্তুমার দৃষ্টিগোচর হলে শান্তনা-শান্তুমা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের নিকট সোর্স-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ফলশ্রুতিতে, সোর্স তাদের অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং এ ধরনের দাবি ও প্রমোশন আর করবে না স্বীকার করে একটি সমঝোতা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে।

কিন্তু, ২০২৪ সালে তারা পুনরায় নিজেদের বাংলাদেশি মাঙ্গার প্রণেতা দাবি করে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করে এবং সোর্স-এর মাঙ্গা-ই বাংলাদেশের প্রথম মাঙ্গা এরূপ মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করতে শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে শান্তনা-শান্তুমা পুনরায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন এবং ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অভিযুক্ত ফোরনেটশা বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম নাসির হোসেন নয়ন ও প্রমোটার হিশাম ইকবাল এবং অভিযোগকারী শান্তনা-শান্তুমার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে উপস্থিত পক্ষদ্বয়ের বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, শান্তনা-শান্তুমাই প্রথম স্বীকৃত বাংলাদেশি মাঙ্গা আর্টিস্ট কিন্তু সোর্স অবৈধভাবে নিজেদের প্রথম দাবি করে আসছিল। এছাড়াও প্রমাণিত হয় যে, সোর্স ও ফোরনেটশার কর্মকাণ্ড দ্বারা শান্তনা-শান্তুমা ভোগান্তি, অসম্মান, মানসিক চাপ ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রায় হয় যে, কপিরাইট আইন ২০২৩-এর ১০ ধারার ক্ষমতাবলে সোর্স ও ফোরনেটশা মিথ্যা দাবিকৃত সব কন্টেন্ট অবিলম্বে প্রচার মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাধ্য থাকবে।

আরও আদেশ হয় যে, প্রথম বাংলাদেশি মাঙ্গা আর্টিস্ট শান্তনা-শান্তুমা সোর্স-এর বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ২০২৩-এর ৭৭, ৮৪, ১০৬ ও ১০৭ ধারায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করার অধিকারী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চিন্তা ও ভাষায় নিয়ন্ত্রিত হবে শাওনের গাড়ি

ঢাকায় পৌঁছেছেন ফাহমিদুল ইসলাম

ঈদুল আজহা কবে জানা যাবে সন্ধ্যায়

সকালে যে আমল করলে সারাদিন ভালো কাটবে

উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিটেই বিধ্বস্ত স্টারশিপের রকেট

আজ বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া 

আজকের দিন কেমন কাটতে পারে, জেনে নিন রাশিফলে

ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

১০

জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১১

টিভিতে আজকের খেলা

১২

২৮ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

২৮ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

‘হোমিও-ইউনানি-আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদন বৈষম্যপূর্ণ’

১৫

মধ্যরাতে দোকানে দোকানে সেনাবাহিনী, গ্রেপ্তার ১০

১৬

শেকৃবির রেজিস্ট্রার পদে রুটিন দায়িত্বে নজরুল ইসলাম

১৭

সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘সুরভি’ : ডা. জুবাইদা

১৮

ধোলাইয়ের শিকার দুই ইরানি করলেন মামলা

১৯

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএসপিপির ২ দিনের কর্মসূচি

২০
X