জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্র্যাব) বিশেষ অনুষ্ঠান। বিষয় ছিল- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বর্তমান সংকট, তার কারণ এবং উত্তরণের সম্ভাব্য পথ। সে সঙ্গে গুণী ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা প্রদান করা হলো।
ট্র্যাব সভাপতি কাদের মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য দেন ট্র্যাব সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ জাহাঙ্গীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ, বিএফইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ এবং বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তানিয়া আফরিন।
আলোচনা সভায় বক্তারা সংস্কৃতি ও সমাজের মনন গঠন নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের এ যুগে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলেও দাবি তোলেন। এরপর তরুণ প্রজন্মকে বই পড়া, নাটক-সিনেমা দেখা এবং সংগীত চর্চায় উৎসাহিত করার বিষয়ে নিজেদের মতামত জানান অনেকে। এ সময় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে হবে বলেও জানান তারা।
অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল ট্র্যাব এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৫। বিভিন্ন বিভাগে ২৬ বিশিষ্ট শিল্পী, সৃজনশীল ও সমাজসেবককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছটকু আহমেদ- আজীবন সম্মাননা, মোশাররফ করিম- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (উত্তরাধিকার), তানহা তাসনিয়া ইসলাম- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (তিনি আমার মা), কায়সার আহমেদ- শ্রেষ্ঠ পরিচালক, ধারাবাহিক নাটক (বকুলপুর), আজম খান- শ্রেষ্ঠ নাট্যকার (তিনি আমার মা), শারমিন আহমেদ মিন্নি- বাংলাদেশের প্রথম নারী গিটারিস্ট, ডিজে ফারহা- সেরা নারী ডিজে, মুক্তি মাহমুদ- শ্রেষ্ঠ নির্মাতা (ডকুমেন্টারি : প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার), সুমন- জনপ্রিয় গায়ক, কামরুন নাহার শিপু-সংগীতশিল্পী, সমাজসেবক হিসেবে মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মাহবুব আলম জুয়েল, জালাল আহমেদ হাওলাদার।
এ ছাড়া অদিতি আহমেদ শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে, শিক্ষকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য কামরুন নাহার এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে আশিকুর রহমান নাদিম পুরস্কৃত হন।
পরিশেষে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির পরিবেশনা দর্শকের মন জয় করে নেয়। ট্র্যাব জানায়, ভবিষ্যতেও তারা নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন করবে, যাতে সাংস্কৃতিক চর্চা আরও প্রসারিত হয় এবং নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়।
মন্তব্য করুন