জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এবার মূল ফোকাস চীনের প্রতিশ্রুতি। দেশটি বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই সমাবেশের উদ্বোধন করবেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। খবর এএফপির।
বিশ্বের অনেক দেশ এখনো তেল-গ্যাস প্রকল্প বাড়াচ্ছে, তবে প্রায় ১১৮টি দেশ নির্গমন কমানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ দুর্যোগ ডেকে এনেছে। পাকিস্তানের বন্যা থেকে শুরু করে স্পেনের দাবানল সবই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ।
চীন ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর অঙ্গীকার করেছে। সৌরশক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির দ্রুত প্রসারের কারণে দেশটি এই লক্ষ্য পাঁচ বছর আগেই পূরণ করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার চীন ২০৩৫ সালের জন্য নতুন হ্রাস পরিকল্পনা ঘোষণা করবে।
এশিয়া সোসাইটির বিশেষজ্ঞ লি শুও বলেন, ‘সবার চোখ থাকবে চীনের দিকে।’ তার মতে, চীন আগামী এক দশকে একক অঙ্ক থেকে নিম্ন দ্বি-অঙ্ক শতাংশ পর্যন্ত নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, যা একসময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রগতির মতো হবে।
তবে এই পরিকল্পনা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যে উষ্ণায়নকে প্রাক-শিল্প স্তরের ওপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। তারপরও কপ-৩০ সম্মেলনের আগে চীনের নতুন লক্ষ্য আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা হবে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জীবাশ্ম জ্বালানি রক্ষায় সরব হলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জলবায়ু ইস্যুতে নতুন সমঝোতা গড়ার চেষ্টা করছেন।
মন্তব্য করুন