আমরা প্রায়ই শুনি, কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু অনেকেই জানি না, ঠিক কত বছর বয়স থেকে নিয়মিত কোলেস্টেরল টেস্ট করানো দরকার। চলুন আজ সহজভাবে জানবো— কার কখন কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত, কেন তা দরকার এবং কী কী লক্ষণে সতর্ক হবেন।
প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার কোলেস্টেরল কী? কেন গুরুত্ব দিয়ে এটি দেখা জরুরি? কোলেস্টেরল একধরনের ফ্যাট, যা আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটা রক্তে প্রোটিনের সঙ্গে মিশে লিপোপ্রোটিন তৈরি করে এবং শরীরে ঘোরাফেরা করে।
আরও পড়ুন : রাতে এই ৫ লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি সমস্যার সংকেত
আরও পড়ুন : তরুণ থাকতে সকালে গড়ে তুলুন এই ৫ অভ্যাস
তবে সমস্যা হয় তখনই, যখন কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। তখন হার্টের রোগসহ অনেক জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র জানাচ্ছেন, আগে যেসব হার্টের অসুখ শুধু বয়স বাড়লে হতো, এখন তা কম বয়সেও দেখা যাচ্ছে। তাই বয়স ২৫ পেরোলেই পুরুষদের জন্য কোলেস্টেরল টেস্ট শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে, বয়স ৪০-এর পর থেকে বছরে অন্তত একবার এই টেস্ট করানো উচিত। এতে আগেভাগে জানা যাবে সমস্যা আছে কি না এবং সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
কোলেস্টেরল পরীক্ষার জন্য সাধারণত লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো হয়। এতে জানা যায়—
- খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কতটা
- ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কতটা
- ট্রাইগ্লিসারাইডস নামের ক্ষতিকর ফ্যাট কতটা আছে
রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসক পরামর্শ দেন খাবার, জীবনযাত্রা বা ওষুধের।
বেশিরভাগ সময়েই শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তেমন কোনও স্পষ্ট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে, যেমন :
- অল্পতেই ক্লান্ত লাগা
- খিদে কমে যাওয়া
- চোখের আশপাশে হলুদ চর্বির দাগ
- বুকের বাঁ পাশে ব্যথা
- প্রেসার বেড়ে যাওয়া
- পায়ের ব্যথা
এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : অকাল বার্ধক্য ডেকে আনছে আপনার প্রতিদিনের যে ২ খাবার
আরও পড়ুন : পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করলে হতে পারে যেসব ক্ষতি
কোলেস্টেরল বাড়া মানেই সব সময় বিপদ নয়, তবে অবহেলা করলে বড় সমস্যা হতে পারে। তাই সময় থাকতেই পরীক্ষা করান, খাবারে সচেতন হোন, এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনুন।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য করুন