নখকুনি—শুনতে সাধারণ মনে হলেও যাদের হয়েছে, তারা জানেন এর যন্ত্রণা কতটা কষ্টকর। পায়ের নখ যখন চামড়ার ভেতরে ঢুকে যায়, তখনই তৈরি হয় এই সমস্যা। আর অনেকেই এটা থেকে মুক্তি পেতে নিজের মতো করে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন, কিন্তু বেশিভাগ ক্ষেত্রেই তাতে তেমন সুফল মেলে না।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সমস্যার মুখোমুখি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। তবে তারা আরও দাবি করেন, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যা নিয়মিত মেনে চললে নখকুনির যন্ত্রণা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
চলুন জেনে নিই নখকুনির কারণ, ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়—
নখকুনির মূল কারণ
চিকিৎসকরা বলছেন, টাইট বা ফিটিং জুতা পরা, ভুলভাবে নখ কাটা, নখে ধাক্কা লাগা বা আঘাত পাওয়া, হাইজিন ঠিকভাবে অনুসরণ না করা এবং পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণের কারণে নখকুনি হয়ে থাকে।
ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর কয়েকটি পদ্ধতি
১️. গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা
প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে আশপাশের ত্বক নরম হয়, ব্যথা কমে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চাইলে পানিতে অল্প লবণও মিশিয়ে নিতে পারেন।
২️. অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার
পা ভেজানোর পর ভালোভাবে শুকিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা আইডিন লাগিয়ে নিন। এতে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩️. কটন বলের ব্যবহার
নখ ও চামড়ার মাঝে সামান্য কটন বল রেখে দিন। এতে নখ কিছুটা ওপরে ওঠে এবং ভেতরে ঢোকার প্রবণতা কমে যায়।
৪️. অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ১০–১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস নষ্ট হয়, ইনফেকশন কমে আসে।
নখকুনি প্রতিরোধে করণীয়
১. পা ও হাতের নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
২. সবসময় খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরুন।
৩. নখ সোজাভাবে কাটুন, কখনোই গোল করে নয়।
৪. ঘাম শোষণ করতে পারে না এমন মোজা পরা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের বিশেষ যত্ন নিন ও সতর্ক থাকুন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
যদি ইনফেকশন বেড়ে যায়, পা ফুলে যায়, পুঁজ জমে বা ৫-৬ দিনের মধ্যেও ব্যথা না কমে—তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কারণ নখকুনির সমস্যা অবহেলা করলে তা মারাত্মক জটিলতায় রূপ নিতে পারে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
মন্তব্য করুন