সন্তান জন্ম দিতে প্রজনন ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। অনেক দম্পতি রয়েছেন, যারা ফার্টিলিটি বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, তা ফার্টিলিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। কিছু খাবার নিয়মিত খেতে হবে, আবার কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আপনার ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করবে -
১. কার্বোহাইড্রেট
প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট খেলে তা ফার্টিলিটিকে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত খাবার এর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রজনন সুস্থতার জন্য শাক-সবজি, ফল, গোটা শস্যের পাস্তা, রুটি, ভাত এবং সিরিয়ালে পাওয়া জটিল কার্বোহাইড্রেট বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. প্রোটিন
ফার্টিলিটির জন্য প্রোটিনের ভালো উৎসগুলো অত্যাবশ্যক। মাছ, চর্বিহীন মাংস এবং ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস। সাম্প্রতিক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, উচ্চ চর্বিযুক্ত দুধ ফার্টিলিটির ক্ষেত্রে নেতিবাচক ফলাফল আনতে পারে। তবে কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, বিশেষ করে গাঁজনযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, যারা প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে চান তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার।
৩. আয়োডিন
ভ্রূণের বিকাশ এবং সঠিক থাইরয়েড ফাংশনের জন্য আয়োডিন অপরিহার্য। গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করছেন এমন নারীদের সাধারণ ঘাটতি মোকাবেলার জন্য আয়োডিনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আয়োডিনযুক্ত লবণ, দুগ্ধজাত খাবার ও সামুদ্রিক মাছ আয়োডিনের চমৎকার উৎস।
৪. ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) ও এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো সমস্যা প্রভাবিত করতে পারে, যা ফার্টিলিটির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। মাছ, ডিম, পনির এবং দুধের মতো খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি রয়েছে।
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
প্রজনন স্বাস্থ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ভূমিকা রাখে। কিছু গবেষণায় এমনটাই প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাজা ফল, শাক-সবজি, বিভিন্ন মসলা, উদ্ভিজ্জ তেল, চা এবং কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
৬. ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্টেশন, বিশেষ করে যখন ভিটামিন বি-12 এর সাথে মিলিত হয়, তখন গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা বাড়তে পারে এবং প্রজনন প্রযুক্তি (এআরটি) সফল হতে পারে। সবুজ শাক-সবজি, ডিম ও মুরগি ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস।
মন্তব্য করুন