কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জীবন বদলে দিতে পারে যে ৫ অভ্যাস 

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

প্রতিটি মানুষের শরীর ও মন সুস্থ থাকা জরুরি। আর এ জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ছাড়াও কিছু অভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলে অনেক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয় এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।

দৈনন্দিন জীবনযাপন হঠাৎ করে বদলে ফেলা সম্ভব না। এর জন্য সময় দিতে হয়। ব্যস্ততার মধ্যেই শরীরের যত্ন নিতে হবে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দৈনন্দিন জীবনে কোন অভ্যাসগুলো বদলে দিতে পারে আপনার জীবন।

যোগ ব্যায়াম ও ধ্যান

মনকে প্রশান্ত করে সকালটা শুরু করুন। তবে মন প্রশান্ত করার এই কাজটা মোটেও সহজ নয়। তারপরও সকালের দিকে কিছু সময় যোগ ব্যায়াম এবং ধ্যান, মন ও শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। শবাসন থেকে পদ্মাসন, বজ্রাসনসহ একাধিক যোগ ব্যায়ামে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যোগ ব্যায়ামে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সমগ্র শরীর ভালো রাখতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

স্বাস্থ্যকর খাবার

খাবার থেকেই শরীরের শক্তি আসে। ব্যস্ততা আছে বলেই হাতের কাছে যা পাচ্ছেন, তা না খেয়ে স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার বেছে নিন। সকালের খাবারে যেন প্রোটিন, শর্করার ভারসাম্য থাকে। ওজন কমাতে গেলে প্রোটিন জাতীয় খাবারে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি ‘গুড ফ্যাট’ রয়েছে, এমন খাবার যেমন আখরোট, পেস্তা, বাদাম খাওয়া জরুরি। আর শরীরের জন্য দরকার তরল জাতীয় খাবার।

ঘুম

স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে রাতে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তাই সুস্থ জীবনযাপন, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া বা জেগে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতে যদি ঘুম ঠিক মতো না হয়, কিছুতেই সকালে মেজাজ ঠিক রাখতে পারবেন না। কোনো কাজ করতেই ভালো লাগবে না। শরীরও সঙ্গ দেবে না। তা ছাড়া সুস্থ শরীর ও মনের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। ঘুম ভালো হলে মেজাজ ভালো থাকবে।

হাইড্রেটেড থাকা

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ, শরীরের কোষের সঠিক কার্যকারিতা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের হাইড্রেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

লেখালেখি করা

কখনো একাকিত্ব লাগলে নিজের মনের কথা লিখে ফেলুন। কবিতা, গান যা আপনার ভালো লাগে তাই ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। দেখবেন মনের অজান্তেই একাকিত্ব চলে যাবে।

অভ্যাস একদিনে তৈরি হয় না। কিন্তু জীবনে ভালো থাকার জন্য কিছু ভালো অভ্যাস খুব জরুরি। আমরা অনেকেই সময়ের কাজ সময়ে করি না। সময়ের কাজ সময়ে না করার মানে হলো সময়কে গুরুত্ব না দেওয়া। আর সময়কে গুরত্ব না দিলে পিছিয়ে থাকতে হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর করা হয়ে ওঠে না। তাই সময়কে গুরুত্ব দিন, সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন। দেখবেন জীবন বদলে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১০

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১১

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১২

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

১৩

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

১৪

বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী

১৫

নরসিংদীতে ভূমিকম্প আতঙ্ক / ঘর ছেড়ে রাস্তা-মাঠে নির্ঘুম রাত, শহর ছাড়ার ভাবনা

১৬

ঘাস খাওয়ায় গরুর পায়ের রগ কাটল প্রতিবেশী

১৭

রেস করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ তরুণের

১৮

কবিতা-গানের মনোমুগ্ধময় সন্ধ্যা― ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’

১৯

রেফারি বিতর্ক নিয়ে বার্সাকে ফের আক্রমণ রিয়াল সভাপতির

২০
X