বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অন্যায়কারীদের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে : বাঁধন

আজমেরি হক বাঁধন। ছবি : কালবেলা
আজমেরি হক বাঁধন। ছবি : কালবেলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাশে অন্যদের মতো দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরাও। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে সমবেত হন শিল্পীসমাজ।

এ সময় বাঁধন বলেন, আমি এ অন্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং সেই বিচারের প্রকাশ্য প্রয়োগ আমরা দেখতে চাই।

জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি এখন মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় বিবেকবান মানুষের ঠিক থাকা সম্ভব না। যতদিন ছাত্ররা মাঠে আছে, আমি ততদিন তাদের সঙ্গে থাকব।

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে এক হয়েছিলেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, চলচ্চিত্রকার আকরাম খান, অভিনেতা মোশাররফ করিম, সিয়াম আহমেদ, অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, জাকিয়া বারী মম, অভিনেত্রী সাবিলা নূর, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, চলচ্চিত্রকার অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, আদনান আল রাজিব ও রেদওয়ান রনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, অভিনেতা ইরেশ জাকের ও তার স্ত্রী মীম, নাজিয়া হক অর্ষা, ওয়াহিদ তারেক, ঋতু সাত্তার, দীপক সুমন, আরমিন মুসা, প্রবর রিপন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, রাকা নওশিন নওয়ার, অভিনেত্রী নাদিয়া ও শাহানা রহমান সুমিসহ অনেকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। একপর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। একপর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা হয়। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১০

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১১

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

১২

ওসিকে অপসারণে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসব কাউনিয়া আদি শ্মশানে

১৫

বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস ২০২৫ : মেরুদণ্ডের যত্নে সচেতন হই, সুস্থ জীবন গড়ি

১৬

কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বেইলি ব্রিজে ফাটল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

১৭

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দলের একক মাতবরি থাকবে না : নুর

১৮

জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে না ৪ দল

১৯

সিলেটে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোববার

২০
X