দেশ ও জাতি গঠন এবং কার্যকর রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনে বিজয়ী শক্তি ছাত্র সমাজকেই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর উত্তরায় দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ নেতৃবৃন্দ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ ও জাতির সকল ক্রান্তিকালেই আমাদের ছাত্রসমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। ‘৫২-এর ভাষা, ‘৬৬-এর ৬ দফা, স্বৈরাচার আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ‘৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ‘২৪-এর কোটা সংস্কার ও ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনে আমাদের বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কিন্তু এই বিজয়ে আমাদের আত্মহারা হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, দেশ ও জাতিসত্তা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তাই দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের নতুন প্রজন্মকে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, কুচক্রী মহল ছাত্র সমাজের এই গর্বিত বিজয়কে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এদের অপতৎপরতার কারণে দেশের বেশ কিছু স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মনে রাখতে হবে; সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে আমরা সকলেই বাংলাদেশি।
তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল ধর্মের ভিত্তিতে আমাদের মাঝে বিভাজনের অপচেষ্টা করছে। এদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের নিরাপত্তায় পালন করতে হবে কার্যকর ভূমিকা। অন্যথায় আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারব না।
তিনি সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বিজয়ীদের প্রতি সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।