কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের বাড়ল নীতিসুদ হার

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গত ২ বছর নানা পদক্ষেপ নিয়েও কমানো যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। আর্থিক এই সূচকের লাগাম টানতে ফের নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) বাকি সময়ের জন্য নীতি সুদহার দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে।

মূলত মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার বাড়বে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণত ঋণের চাহিদা কমে যায়। এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ কমে গেলে মূল্যস্ফীতির সূচক মাথা নামাতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। সে কাজের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে নীতি সুদহার বাড়ানো বা কমানো।

গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত বাড়ছে নীতি সুদহার।

নীতি সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নীতি সুদের করিডরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশে এবং নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৭ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। বিষয়টি হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে, সমাজে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতির সূচক বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে তারা। নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহার বাড়ে। নীতি সুদহার বেশি থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহিত হয়। নীতি সুদহার হলো রেপো।

এর সঙ্গে রিভার্স রেপো রেটের আলোচনাও প্রাসঙ্গিকভাবে চলে আসে। যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে বাজারে অতিরিক্ত তারল্য আছে, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই তারল্য তুলে নিতে পারে। এই তুলে নেওয়ার জন্য সুদের নির্দিষ্ট হার থাকে। অর্থ তুলে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে হারে সুদ দেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো। সাধারণত নীতি সুদহার বা রেপো রেটের তুলনায় রিভার্স রেপোর সুদহার কম থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় গেলেন শক্তিধর মার্কিন কমান্ডার, ঘাঁটি নিয়ে আলোচনা

‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবক জিহাদের পাশে তারেক রহমান

‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবক জিহাদের পাশে বিএনপি

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় পণ্য জব্দ

যে কারণে পেছাল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের সামনে সহজ লক্ষ্য

ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তছলিম, সম্পাদক ফেরদৌস

সামাজিক অনুষ্ঠানে সাইক্লোন শেল্টার ব্যবহার করা যাবে : উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম

স্বাস্থ্যসেবায় নার্সদের ভূমিকা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে : অতিরিক্ত সচিব সালাম

উল্টে যাওয়া ইঞ্জিন উদ্ধারে গিয়ে লাইনচ্যুত হলো রিলিফ ট্রেন

১০

জকসু বিষয়ে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

১১

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলে-মেয়েরা জীবন দেয়নি : সারজিস

১২

মেসিকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিলেন স্কালোনি

১৩

এনপিবি নিউজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

১৪

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা শুরু

১৫

বাবা হারালেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্স

১৬

সেই মেজর জেনারেল কবিরের বিষয়ে যে তথ্য দিল সেনাসদর

১৭

আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে ধর্ষণে মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

১৮

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার দাবি জাকসুর

১৯

আবুধাবিতে বাংলাদেশের বোলিং তোপে চাপে আফগানিস্তান

২০
X