ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নাগরিক কমিটির প্রতিবাদ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পৃথক গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পত্র-পত্রিকার বরাতে দেখা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের সময় এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নীরব ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতন করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর এবং পরবর্তীতে থানায় প্রেরণ করার ঘটনা ঘটেছে। উপরোক্ত দুটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কোনোভাবে দায় এড়াতে পারেন না।

এতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিবাদিদী কায়দায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নাগরিক কমিটি মনে করে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ‘মব-ভায়োলেন্সে’র মতো সকল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও উপাদানের শিগগিরই বিলোপ করতে হবে এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করতে হবে। আমরা মনে করি, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকল অপরাধের বিচারের দায়িত্ব আদালতের। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তারা অপরাধ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে মব-লিঞ্চিং, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাজার ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জানান দিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশের দিন থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। ৫ আগস্টের পরও এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, ফ্যাসিবাদি হাসিনার পতন হলেও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও ব্যবস্থা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদাসীনতা এবং বিভিন্ন হামলার পরেও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এ ধরনের মব-ভায়োলেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি আরও জানায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গণপিটুনিতে জড়িতদের চিহ্নিত করেছে এবং নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক পদধারী নেতাদের দেখা যাচ্ছে। উপরোক্ত দুটি হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তিরাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জবাবদিহিতা চায়। নতুবা অচিরেই গণঅভ্যুত্থানের শক্তি দেশের আপামর জনতার স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে রাজপথে সক্রিয় কর্মসূচি পালন করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যায়ভিত্তিক ও নারীবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

বাংলায় জন্ম, তবু শুদ্ধ উচ্চারণে ব্যর্থ কেন

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নির্বাচন বিলম্ব করতে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে : আমীর খসরু

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতের স্কোয়াড নিয়ে মিলল আভাস

সময় না থাকলেও পুরুষদের জন্য কেন ব্যায়াম করা জরুরি

ভারতের বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের নতুন ছবি-ভিডিও প্রকাশ, জানা গেল কারণ

যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বিপুল জাটকা জব্দ

ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু, পুলিশের দাবি ‘শ্বাসকষ্ট’

১০

পিরিয়ডে পেটব্যথা, কমবে ভেষজ চায়ে

১১

জামায়াত ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

১২

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত: ইসি সানাউল্লাহ

১৩

সাকিবকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল

১৪

কারিশমার সাবেক স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে নতুন বিতর্ক

১৫

ফের ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল বাইপাইল

১৬

ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের, জিততে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হবে আয়ারল্যান্ডকে

১৭

জেলেনস্কিকে আলটিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

১৮

পূর্ববিরোধে থেমে গেল জীবনের প্রাণ 

১৯

সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানালেন মিথিলা

২০
X