যক্ষ্মা কারও একার সমস্যা নয়। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একসঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সদস্যবৃন্দরা।
আজ শনিবার বিকেলে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে যেভাবে আওয়াজ তোলা হয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সেভাবে আওয়াজ তোলা হয় না। অথচ দেশে পৌণে চার লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করলে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব।
যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক বলেন, বিনামূল্যে যক্ষ্মা পরীক্ষা করা ও ওষুধ পাওয়া যায়। সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে যক্ষ্মা নির্মূল বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এ জন্য তৃণমূল ও প্রান্তিক পর্যায়ে প্রচার বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) প্রোগাম ম্যানেজার ডা. আফজালুর রহমান বলেন, দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে ৩০ লাখ রোগীর কফ পরীক্ষা করা হয়। এসব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। প্রতিবছর যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে ১০০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়।
যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের সদস্য সচিব আরমা দত্ত বলেন, যক্ষ্মা নিয়ে যারা গবেষণা ও কাজ করছেন তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরাও রয়েছি।
যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান ডা. মো. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ময়মনসিংহ-৮ আসনের ফখরুল ইমাম, বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ, মহিলা আসন-৩৪৭ এর রওশন আরা মান্নান, লুৎফুন নেসা খান, ফেরদৌসী ইসলাম, অ্যাড. শামীমা আক্তার খানম, কানিজ ফাতেমা আহমেদ, নার্গিস রহমান, বাসন্তী চাকমা, আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন