তৌহিদুল ইসলাম তারেক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের প্রতারণায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

সেন্ট্রাল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
সেন্ট্রাল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকের অবহেলা ও মিথ্যাচারে নবজাতকের মৃত্যু ও মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

রোগীর স্বামী ইয়াকুব আলী সুমনের অভিযোগ, সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে তার স্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়। ওই চিকিৎসকের অধীনেই তার স্ত্রীর ডেলিভারি হওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেশে ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করে এবং ডেলিভারি করে।

সুমন জানান, তার স্ত্রী গত তিন মাস ধরে চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে নিয়মিত চেকআপ করাচ্ছিলেন। তার শরীরের অবস্থা নরমাল ডেলিভারির জন্য ঠিক ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টাও করেছিল।

যা ঘটেছিল

গত শুক্রবার (৯ জুন) রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ডেলিভারির জন্য চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে সুমনের স্ত্রীকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে সময় ড. সংযুক্তা সাহার বদলে উপস্থিত ছিলেন ড. মিলি। তিনি কোনো চেকআপ ছাড়াই তাকে কাটাছেঁড়া করেন।

সুমনের ভাষ্যমতে, ডেলিভারির করার জন্য তারা পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হতে থাকে এবং রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বের বাচ্চা বের করা হয়। ফলে বাচ্চার হার্টবিট কমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে নবজাতককে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

সুমন জানান, এ অবস্থায় তিনি বারবার ড. সংযুক্তার খোঁজ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় তিনি দেশের বাইরে আছেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিসিইউ ও এনআইসিইউ না থাকায় সুমনের স্ত্রীকে ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর সেন্ট্রাল হাসপাতাল সুমনকে জানায় তাদের বাচ্চাটি মারা গেছে। এ অবস্থায় সুমন ৯৯৯ কল করে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

রোগীর বর্তমান অবস্থা

সুমন বলেন, এখনো পর্যন্ত আমার স্ত্রীর জ্ঞান ফেরেনি। আজ পর্যন্ত কোনো উন্নতি নেই। ডাক্তার বলেছেন তার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। কারণ, আমার স্ত্রীর কিডনি, লিভার, হার্ট এবং অন্য কোনো অংশ কাজ করছে না। এর মধ্যে সে ব্রেন স্ট্রোকও করেছে, তার সঙ্গে রক্তক্ষরণও বন্ধ হচ্ছে না। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার কারণে শরীরের অন্য অংশগুলো কাজ করতে ব্যর্থ, গত চার দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত দিতে হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিঃশ্বাস চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ত দিতে হবে।

এদিকে এ ঘটনায় চিকিৎসক-নার্স এবং আয়াসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডা. আফসানা বিনতে গাউস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী

নরসিংদীতে ভূমিকম্প আতঙ্ক / ঘর ছেড়ে রাস্তা-মাঠে নির্ঘুম রাত, শহর ছাড়ার ভাবনা

ঘাস খাওয়ায় গরুর পায়ের রগ কাটল প্রতিবেশী

রেস করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ তরুণের

কবিতা-গানের মনোমুগ্ধময় সন্ধ্যা― ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’

রেফারি বিতর্ক নিয়ে বার্সাকে ফের আক্রমণ রিয়াল সভাপতির

লেবাননে আবারও ইসরায়েলি হামলা

সাতক্ষীরা-৩ / আশ্বাস পেয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত ডা. শহিদুল আলম

বিএনপির সাথে বৈঠক / খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন, তিনটিতে একক প্রার্থী

১০

কতজন প্রবাসী পোস্টাল ব্যালটের নিবন্ধন করেছেন জানাল ইসি

১১

জামায়াত নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের নিন্দা এনসিপির

১২

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত, জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৩

নর্দান ইউনিভার্সিটির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

১৪

বিএনপি বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু করবে : আমীর খসরু

১৫

এমপি হলে সৎপথে ব্যবসার লাইন দেখিয়ে দেব : আজহারুল ইসলাম মান্নান

১৬

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

১৭

কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ

১৮

ইসলামবিরোধী আইন মেনে নেওয়া হবে না : মাওলানা রাব্বানী

১৯

বাবার ঋণের দায়ে ছেলেকে অপহরণ, স্বপ্নভঙ্গ পরীক্ষার্থীর

২০
X