সংবাদ প্রচারের কারণে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সদস্য এবং নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল। দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে মানবন্ধনে এ দাবি জানান।
রিপোর্টার্স এগেইনেস্ট করাপশনের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কন্ঠরোধ করতে স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে, আমরা চাই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে করা এ হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক কাউসার আজম বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করলে আমাদের ওপর খড়ক নেমে আসে। সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বিএইচআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন বলেন, একজন সাংবাদিক যখন প্রতিবেদন তৈরি করেন তখন তিনি আপন পর ভাবেন না, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরি করেন। নাগরিক টিভির আনোয়ার হোসেন একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করেছেন। আমাদের ভাই আনোয়ারের রিপোর্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলের আঘাত হানায় এ মামলা করেছে। আনোয়ারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক মামলার নিন্দা জানাচ্ছি, দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
বিএইচআরএফের সহ-সভাপতি সেবিকা দেবনাথ বলেন, সবাই সাংবাদিকদের জাতির বিবেক, চতুর্থ স্তম্ভ বলে কিন্তু যখন কারও স্বার্থে আঘাত আসে তখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। শুধু আনোয়ার নয় বেশ কয়েকটি পত্রিকার নামেও মামলা হয়েছে, এই উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এখন ফেসবুকে সাংবাদিকদের কুলাঙ্গার বলে গালিগালাজ করছে অনেক চিকিৎসক। ডাক্তার ও সাংবাদিকদের এই মুখোমুখি অবস্থান নিরসনেও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
মানবন্ধনে বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, আমাদের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা। আনোয়ারের অপরাধ কী? রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কোন রোগী চিকিৎসা নিতে অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ দিতে পারে। একজন ভুক্তভোগী রোগীর বিএমডিসিতে দায়ের করা অভিযোগ আনোয়ার তুলে ধরেছে এখানে তার বা নাগরিক টেলিভিশনের ব্যক্তিগত কোনো মতামত নেই। কিন্তু সরকারের সাহায্যপুষ্ট ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যে রোগী অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামালা করা চিকিৎসক ও তার প্রতিষ্ঠানকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন