কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পিকেএসএফের আলোচনা সভায় বক্তারা

প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দরকার টেকসই ব্যবস্থাপনা

পিকেএসএফের আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
পিকেএসএফের আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

আয়ক্ষয় রোধের মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার প্রয়োজন। এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দরকার কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের চাপ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, আমরা টেকসইভাবে মানুষের আয়বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন এবং দারিদ্র্য-পরবর্তী উন্নয়নকে প্রাধান্য দেই। কিন্তু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে মানুষের নিজের পকেট থেকে যে পরিমাণ ব্যয় করতে হয়, তা তাদের আয়ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশব্যাপী প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে, পিকেএসএফ পূর্ববর্তী বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত স্বাস্ব্যসেবা সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য আহমেদ এহসানূর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সরকারকে আইন প্রণয়ন করে এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কী ভূমিকা নেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, বর্তমানে তিন বছরের শিশুও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৩০-৩৫ বছর বয়সী মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে, এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত। এর জন্য দায়ী অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ এবং মাদকের অপব্যবহার। এ সমস্যা সমাধানে স্কুলভিত্তিক সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম জরুরি, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যবান্ধব সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

ওয়াটারএইডের আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, বিপর্যয় সৃষ্টিকারী অসুস্থতা দরিদ্র মানুষকে আবারো দারিদ্র্যের চক্রে ফেলে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত খরচে স্বাস্থ্যব্যয়ের হার ৭৩ শতাংশ, যা দারিদ্র্য নিরসনে বড় বাধা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি এসকে রয়, সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদা ফিজ্জা কবির এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিসেসের নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে ভারতের নতুন দাবি

কেন এআই চ্যাটবট মাঝেমধ্যে ভুল উত্তর দেয়? জেনে নিন আসল রহস্য

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা / ‘যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তাতে আমাদের কিছু হয় না’

জ্বরে ভুগছেন টাইগার ক্রিকেটার, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা নিয়ে শঙ্কা

সন্ধ্যার মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আভাস

স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীর পক্ষে লড়তে চান ফজলুর রহমান

প্রাথমিক অবস্থায় যে ৫ লক্ষণ দেখলে বুঝবেন গলার ক্যানসারে ভুগছেন

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা-পাবনা সড়ক পরিদর্শনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

রিয়ালকে একা ফেলে সুপার লিগ ছাড়তে চাইছে বার্সা

নিষেধাজ্ঞার খবরে আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম

১০

বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১১

কানে ইয়ারফোন দিয়ে রেললাইনে হাঁটছিলেন ইকরামুল, অতঃপর...

১২

যে একাদশ নিয়ে আজ মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৩

দস্যুদের থেকে জিম্মি ৪ জেলে উদ্ধার

১৪

জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রাশেদের

১৫

জুমার দিনে ইসলামি বইমেলায় পাঠকদের ভিড়

১৬

ফ্লোটিলা নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৭

মোবাইলে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দেখবেন যেভাবে

১৮

১০ দিনের শিশুকে হত্যার পর যে কাণ্ড ঘটালেন মা

১৯

সিনেমার কায়দায় মেয়েকে অপহরণ করলেন মা-বাবা

২০
X