বর্তমানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কারণে আমরা একটি অস্থির সময় পার করছি। কিন্তু এ সময়টি সম্ভবনাময়। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে প্রজা হয়ে গিয়েছিলাম। সে জায়গা থেকে আমাদের মুক্ত করেছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপেদেষ্টা ড. সিআর আবরার।
সিআর আবরার বলেন, আমাদের তরুণ সময় আমাদের নতুন একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই তাদের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোও তরুণদের আকাঙ্ক্ষার গুরুত্ব দিবেন বলে মনে করি। আগের সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে খারাপ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। আমরা সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন খাত তৈরি করে শিক্ষার বরাদ্দ থেকে লুটপাট করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অর্থ বরাদ্দ দিত এমন সব খাতে যেগুলো শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্তই নয়। শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ব্যক্তির মহৎ বর্ণনা বা প্রচার করতেই ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। এখন ওই ধরনের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশ গঠনের একটি সুযোগ পেয়েছি। এই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগুলো দুর্বল। আবার অনেক সময় আমাদের শক্তিশালী নীতি থাকলেও যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। তাই দুর্বল নীতিগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী নীতিগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিআর আবরার বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সিজারের গড় হার থাকার কথা ১০ শতাংশ। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটা এই খাতের উদ্যোক্তাদের অনৈতিকতার ফল। এসব সংস্কারে ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। এসব কাজ তো তাদেরই হওয়ার কথা। তারা কি করছে?
তিনি বলেন, সরকার এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করবেন। সবাই বলবেন, সরকার ডাক্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এজন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এই খাতের সংগঠন ও ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন