অপরাধী যেন কেউ ছাড় না পায়, তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে জুন মাসের অপরাধ পর্যালোচনাসভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় ডিএমপি কমিশনার ইউনিট প্রধানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একজন ইউনিট প্রধানের প্রধান দায়িত্ব নিজের ইউনিটকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা এবং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করা। নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। চেকপোস্ট পরিচালনা, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তি এবং ওয়ারেন্ট তামিলের ক্ষেত্রে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় তিনি চোরাই গাড়ি, মাদক উদ্ধার এবং অপরাধ বিশ্লেষণে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, দায়িত্ব পালনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নিয়ে পুলিশি কার্যক্রম আরও জনবান্ধব করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহার সময়ে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সকলে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি আরও বাড়াতে হবে।
সভায় জুন মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন। তিনি ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক এবং অস্ত্র উদ্ধারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। জুন মাসে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট ও থানার অফিসার ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন