এক সপ্তাহের মধ্যে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসি কার্যকরের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান সাইফ।
তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা হত্যার রায় বহু আগে ঘোষণা হলেও আজ পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরের তারিখ প্রকাশ করা হয়নি। এটি শুধু বিলম্ব নয়, ন্যায়বিচারের অবমাননা, শহীদের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং জাতির সঙ্গে প্রহসন। প্রদীপের মতো একজন দাগি খুনির শাস্তি কার্যকরে এই দীর্ঘসূত্রতা কী বার্তা দিচ্ছে? রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় কি অপরাধীরা বিচার এড়িয়ে যেতে পারে?
সাইফুল্লাহ খান আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, এই বিলম্ব আর মেনে নেওয়া হবে না। সরকারের কাছে আমাদের চূড়ান্ত দাবি, প্রদীপের ফাঁসির কার্যকরের নির্দিষ্ট তারিখ অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।
সংগঠনটির আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমোডর (অব.) মেহেদী হাসান বলেন, সরকার কেন এই বিচার কার্যকর করছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপে সরকার রায় বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে। হাইকোর্ট রায় টাইপ করতে দুই মাস সময় নিচ্ছে। এটা কি দায়বদ্ধতার পরিচয়? আমরা মনে করি, সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
আরও পড়ুন : গাজীপুরে গণপিটুনিতে ‘ছিনতাইকারী’ নিহত
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের দিন (শুক্রবার) রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়া চেকপোস্টে হত্যা করা হয় মেজর (অব.) সিনহাকে। এ ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলী সাবেক মেজর সিনহা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালত ১৫ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রদীপ এবং লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সাতজনকে খালাস প্রদান করে। চলতি বছরের দুই জুন তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করুন