দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানোর সময় নিউইয়র্কে মুখোমুখি অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। জড়ো হয় দুই দলের হাজারো সমর্থক। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর এলাকায়। এমনকি জ্যাকসন হাইটসে রীতিমতো হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে।
ঘটনার শুরু হয় জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে জড়ো হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পাল্টা অবস্থান নেন বিএনপির সমর্থকরা। দিতে থাকেন সরকারবিরোধী স্লোগান। এতে পরিস্থিতি উত্তেজনায় রূপ নেয়। পরে সেখান থেকে জ্যাকসন হাইটসে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। সেখানেও হাজির হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানেই হাতাহাতি হয় দুদলের সমর্থকদের মধ্যে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ায় বিভিন্ন নেতাকর্মী এ সময় ফেসবুক লাইভ করেন গোটা পরিস্থিতি নিয়ে। এতে দেখা যায়, আমেরিকায় বসবাসরত বিএনপির শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ করতে থাকেন। স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। সেখানে দুদলের মধ্যে তর্কের একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি, যা চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
মূলত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে তারা অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা, পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। আক্রমণাত্মক আচরণ করে। একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সফরসূচি থেকে জানা যায়, ১৭-২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি ভাষণ দেবেন।
এর আগে, রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
মন্তব্য করুন