কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্ধ করুন এই যুদ্ধ, বন্ধ করুন এই অস্ত্রের খেলা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ‘জয়িতা টাওয়ার’ উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ১০টার পর তিনি জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি একজন শুধু নারী রাজনীতিক বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবে বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা এই যুদ্ধ বন্ধ করেন। বন্ধ করেন এই অস্ত্রের খেলা। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা। আজকে পৃথিবীজুড়ে এক যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তারমধ্যে আবার ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা।

তিনি বলেন, যুদ্ধ হলে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় আমাদের নারী এবং শিশুরা। তারাই বেশি কষ্ট ভোগ করে। আমাদের সবরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি আমার বাবাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর মাকে বন্দি করে। তিনি ছোট বোন রেহানা ও ছোট ভাইসহ বন্দিখানায় ছিলেন। এমনকি তিনি সে সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন, সমাজের অর্ধেক হচ্ছে নারী, তাদের অবহেলিত রেখে একটি সমাজ গড়ে উঠতে পারে না। নারীরা শুধু আমাদের অধিকার দাও বললে চলবে না, নারীদের অধিকার নারীদের আদায় করে নিতে হবে। নারীদের অধিকার নিজের গুণে অর্জন করতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদের প্রথম শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার যে অবদান, তিনি স্বপ্ন দেখতেন নারীরা একদিন জজ, ব্যারিস্টার হবেন। আজ আমাদের দেশের নারীরা জজ-ব্যারিস্টার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আপন স্থান করে নিয়েছে এবং নিতে পেরেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড, প্রতিটি জায়গা আমাদের নারীরা যাতে সমসুযোগ পায়, আমি ৯৬ সালে সরকারে এসে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের উচ্চ আদালতে কোনো মহিলা জজ ছিল না, আজ উচ্চ আদালতে আমাদের নারীরা স্থান পেয়েছে। কোনো সচিব ছিল না, কোনো জেলায় ডিসি করা হতো না। আমি সরকারে আসার পর নারীরা ওসি হয়েছে, এসপি হয়েছে, বিভিন্ন পদ তারা পেয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে নারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়রম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এলো

যুদ্ধবিরতি কার্যকর / ভারত এখনো স্থগিত রেখেছে পাক-ভারত সিন্ধু জলচুক্তি

সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কমিশন ৫ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানোর দাবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের

ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

ফেনীতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও সেনা ব্রিগেড দাবি

পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছোট ভাইয়ের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া

পিকআপভ্যান চাপায় দুই ভাইসহ নিহত ৩

সিলেটে আ.লীগ নিষিদ্ধের মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি

১০

চবির পঞ্চম সমাবর্তনকে ঘিরে চলছে শেষ প্রস্তুতি

১১

প্রথমবারের মতো হলো ‘বরিশাল ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৫’

১২

ইনডোর ইস্যুতে টনক নড়েছে এনএসসির

১৩

যুদ্ধে ভারত-পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ

১৪

ধামরাইয়ে গ্রামবাসীর গণ অর্থায়নে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুলকে সংবর্ধনা

১৫

রিয়ালের দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেছে

১৬

তারুণ্যের সমাবেশে পিকআপভ্যানে ঠান্ডা পানি বিতরণ

১৭

শিয়ালকোটে বিস্ফোরণের ভিডিও নিয়ে যা জানা গেছে

১৮

পাকিস্তান থেকে ফিরে যে অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন রিশাদ

১৯

যুদ্ধবিরতির এক ঘণ্টা পর আবারও হামলা

২০
X