নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে নিজ দেশের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে কাজ করবে। ‘আমার মনে হয় আমি এটা অনেকবার বলেছি।’ ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
তবে কোনও একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তপশিল প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করলে অরিন্দম বাগচি কোনও মন্তব্য করেননি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে পঞ্চম বার্ষিক ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে বসেছিলেন। সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের উদ্বেগের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।’
দ্বিপক্ষীয় ২+২ বৈঠকে দুই দেশের দুই জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সাধারণত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশের রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে নয়া দিল্লি।
মন্তব্য করুন