কর্মচারীদের কাজে মুগ্ধ হয়ে ভালোবাসার টানে সৌদির খামার মালিক শামীম আহাম্মদ হলিবি (৬০) সফর করতে এসেছেন বাংলাদেশ। সঙ্গে এসেছেন তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি (৪৫)। তারা দুজন সৌদি আরবের দাম্মামের আল হাসার খালিদিয়া এলাকার অধিবাসী।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌঁছান তারা।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আব্দুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ (৩০) চাকরি করেন সৌদি আরবের দাম্মাম আল হাচা শহরের বাসিন্দা সামিম আহমেদ হলিবির খামারে। এর মধ্যে খাইরুল ২০ বছর ধরে মাজরায় (বাগানে), হামিদ সাত বছর মাজরায় ও সাহিদ সাত বছর ধরে গাড়িচালকের কাজ করছেন সেখানে।
জানা যায়, খামার মালিকের সাথে দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে কফিল (মালিক) সামিম আহমেদ হলিবির সঙ্গে একটা সখ্যতা গড়ে ওঠে। এসময় মালিকের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন তিনি। যে সম্পর্কের টানে বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তারা। ছুটে আসনে বাংলাদেশে কর্মচারীদের বাড়িতে।
এর আগে গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সৌদি নাগরিক ও তার ছেলে। এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিরেন কর্মচারী খাইরুল ইসলাম। পরে হেলিকপ্টারে চড়ে হোসেনপুর উপজেলার পৌর এলাকার ঢেকিয়া খেলার মাঠে এসে নামেন।
এ সময় সৌদি মালিক ও তার ছেলেকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান স্থানীয়রা। পরে প্রাইভেটকারে চড়ে কর্মচারীদের পৌর এলাকার বাসায় যান তারা। আগামী তিন দিন ঘুরে দেখবেন বাংলাদেশের সৌন্দর্য।
দীর্ঘযাত্রার পর বাংলাদেশে আসতে পেরে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সামিম আহমেদ হলিবি বলেন, খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অনেক খুশি। তারা (খাইরুল, হামিদ ও সাহিদ) শুধু আমার কর্মচারী না আমার সন্তানের মতো। সততা ও বিনয়ের জন্য এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মান বজায় রাখার জন্য তাদের ওপর আমি অনেক বেশি নির্ভরশীল।
প্রবাসী কর্মচারী আব্দুল হামিদ জানান, বাড়িতে কফিল (মালিক) আসায় ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। ওনারা (মালিক ও তার ছেলে) আমাদের গ্রাম-শহর ঘুরে দেখবেন। বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের আগ্রহ রয়েছে।
মন্তব্য করুন