গত ৩০ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন ৩০০ আসনের জাতীয় নির্বাচনের জন্য দুই হাজার সাতশর বেশি প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখন চলছে যাচাইবাছাইয়ের কাজ।
নির্বাচনী বিধিমালার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ না করলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কিংবা ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে গণ্য হলেও তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং আনুষঙ্গিক বিষয়সহ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে আগ্রহী ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রার্থিতা চাইতে পারেন।
তবে যাচাইবাছাই পর্যায় শেষ করে যখন তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য উপযুক্ত হিসেবে ছাড়পত্র পাবেন, তখনই তিনি প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন।
তবে যাচাইবাছাই প্রক্রিয়ার পর রিটার্নিং অফিসার যদি কারও প্রার্থিতা বাতিল করে তবে এর প্রতিকারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। সেখানেও ফলাফল তার বিপরীতে গেলে তিনি চূড়ান্ত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।
২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করার পর আদালতে গেলেও সেই রায় বহাল থাকার উদাহরণ দেন এই বিশ্লেষক। একই বিষয় প্রার্থী হওয়ার পরও প্রযোজ্য।
সেক্ষেত্রে প্রথমেই প্রার্থিতা বাতিল করা হয় না উল্লেখ করে সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা টুলি বলেন, প্রথমে সতর্ক করা হয়। তারপর শোকজ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ইলেকশন কমিশন যদি প্রার্থিতা বাতিল করে গেজেট ঘোষণা করে দেয়, তবে তার জন্য কোর্ট খোলা আছে। চাইলে সে আদেশের বিরুদ্ধে কোর্টে যেতে পারবে।
মন্তব্য করুন