পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মিডিয়ায় বাহবা পাওয়ার জন্য হয়তো কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর মূল উদ্দেশ্য কী, আমরা তা জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। বিষয়টি উনাদের জিজ্ঞেস করুন। সম্প্রতি মার্কিন ভিসা নীতি প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছেন তিন বাংলাদেশি।’
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।
এ সময় ড. মোমেনকে সাংবাদিকরা বলেন, মার্কিন আদালতে যারা মামলা করেছেন, তারা সামাজিক পরিচয়ে আওয়ামীলীগার। জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা সত্যি আওয়ামী লীগের সমর্থক, নাকি নিজে নিজে আওয়ামী লীগ দাবি করে? আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন সরকারে থাকায় যারা আগে জামায়াত ও অন্যান্য দলের সমর্থন করত, তাদের মধ্যে অনেকে এখন নিজেদের আওয়ামী লীগের লোক বলে পরিচয় দেয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতার সঙ্গে ছবি তুলে তা দেখিয়ে বলবে, আমি আওয়ামী লীগ। এগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী ও সুবিধাবাদী লোক করে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে লজিস্টিক সাপোর্ট চেয়েছেন। আমরা তা দেব বলেছি। একই সঙ্গে এটাও বলেছি, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিচারের পাশাপাশি আইসিসিকে সব গণহত্যার বিচার করা উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের প্রত্যাবাসনে কোনো বাধা হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি চার দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় তিনি বাংলাদেশে এলেন। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন করিম খান।
সফরের প্রথম দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। বুধবার (৫ জুলাই) তিনি কক্সবাজার যাবেন। সেখানে তিনি দুদিন অবস্থান করবেন। সে সময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মন্তব্য করুন