কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ে করতে দিতে হবে নতুন তথ্য, সংশোধনী আসছে কাবিননামায়

কাবিননামায় সংশোধনী আসছে। ছবি : সংগৃহীত
কাবিননামায় সংশোধনী আসছে। ছবি : সংগৃহীত

উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের ফরম সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিকাহনামার ফরম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে নারীর জন্য অবমাননাকর ‘কুমারী’ শব্দটি। এ ছাড়া বরের কতজন স্ত্রী বর্তমান আছে, তাও জানাতে হবে সংশোধিত ফরমে।

আইন মন্ত্রণালয় মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এরই মধ্যে খসড়া (সংশোধিত) ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজি) শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম থেকে বাড়িয়ে ফাজিল এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সুবিধাজনক স্থানে নিজ খরচে একাধিক অফিস স্থাপনের পরিবর্তে একটি কাজি অফিস করতে বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর আলোকে ২০০৯ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। নিকাহনামা ফরমে ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ফরমের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে তথ্য চাওয়া হয় ‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কিনা?’ ২০২২ সালে এক রায়ে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খসড়া ফরমে এটি সংশোধন করে ‘কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কিনা?’ লেখা হয়েছে।

বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়, ‘বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কিনা এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কিনা?’ খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিনা? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কিনা?’ এ ছাড়া যে ক’জন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে।

প্রসঙ্গত, কাবিননামা ফরম সংশোধন চেয়ে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ ও মহিলা পরিষদ। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরই সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা ‘কুমারী’ শব্দটি লেখা বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করেন। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে নিকাহনামা ফরম থেকে ‘কুমারী’ শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাবিননামার ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বরের বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করারও নির্দেশ দেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তালাক দেওয়ায় স্ত্রীর বাড়িতে আগুন

প্রকাশ্যে বিজয়-রাশমিকার মিষ্টি মুহূর্ত

এআই দিয়ে ছবি বানিয়ে লকডাউন করছে আ.লীগ : এ্যানি

জানাজার নামাজের কাতার কি বেজোড় হওয়া জরুরি?

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাল জামায়াত

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সালাহউদ্দিন আহমদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

নতুন রূপে প্রিয়াঙ্কা

বানর কি বনি ইসরায়েলের বানরে রূপান্তরিত হওয়া মানুষের বংশধর?

যে ৫ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচারের রায়

আ.লীগের লকডাউনে অস্ত্র হাতে শিশুদের অবস্থান

১০

শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১১

‘উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন’

১২

গণভোটের ৪ প্রশ্নে যা আছে

১৩

পাকিস্তান ম্যাচে মাথা ফেটে হাসপাতালে বাংলাদেশের খেলোয়াড়

১৪

গণহত্যাকারী-খুনিদের আর এ দেশে ফিরে আসা সম্ভব নয় : গোলাম পরওয়ার 

১৫

সন্ধ্যায় বিএনপির জরুরি বৈঠক

১৬

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যুবদলের শোডাউন 

১৭

৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা, রেকর্ডে ভাসছে বাংলাদেশ

১৮

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

১৯

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যা জানাল এনসিপি

২০
X