জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পলাতক আসামি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আরও ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের হিসাব রক্ষক পরিমেলন্দ ভট্টাচার্য, রহমান নেভিগেশনের এক্সিকিউটিভ মো. শাহাদাত হোসেন, লালমাটিয়ার মো. আবু সুফিয়ান, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শামসুজ্জোহা ফরহাদ, রহমান গ্রুপের নির্বাহী অফিসার মো. রেদওয়ানুল হক ও এফ সি এ সিরাজ খান বসাকের রমেন্দ্রনাথ বসাক।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মন্তব্য করুন