নজরুল প্রতিবাদী, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক, সাম্যের কবি ছিলেন। প্রমথ চৌধুরী তাকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে আখ্যা দেন। একইসঙ্গে তার সাংবাদিক, শিল্পসত্তা, বৈচিত্র্যময় কাজ এক উন্নত মর্যাদায় নিয়ে যায়। বিশেষ বক্তৃতা প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল।
শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর শংকরে ছায়ানটের আয়োজন তিন দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের প্রথম দিনে ‘অঞ্জলী লহ মোর সংগীতে’ সম্মেলক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
স্বাগত কথন উপস্থাপন করেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, কথন উপস্থাপন করেন সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, নজরুলের কাব্য, উপন্যাসের বিভিন্ন অংশ পাঠ ও সঞ্চালনা করেন ত্রপা মজুমদার।
নজরুল সৃষ্ট রাগ ‘নবরাগ মালিকার উপর গীতিনৃত্যাল্লেখ্য ছোটদের দল ‘রুম ঝুম রুম ঝুম কে বাজায়’, ‘পায়েলা বোলে রিনিঝিনি’ সম্মেলক নৃত্যগীত পরিবেশন করে। একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘বন-কুন্তল এলায়ে বন’ জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকী, ‘দোলন চাঁপা বনে দোলে’ বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, ‘হাসে আকাশে শুকতারা হাসে’ ঐশ্বর্য সমাদ্দার, পরিতোষ কুমার মন্ডল, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, প্রিয়ন্ত দেব, আশা সরকার, সমুদ্র শুভম, ছন্দা চক্রবর্তী, শমিষ্ঠা দাশ, রেজাউল করিম, ফেরসৌস আরা, শুক্লা পাল সেতু, লাইসা বিনতে কামাল প্রমুখ।
একক নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা। আবৃত্তি করেন নাজমুল আহসান, হাসিব বিল্লাহ। সম্মেলক গান পরিবেশন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন