ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গাছ পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন ও অনেক জায়গায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিচালন ও বিতরণ) দেবাশীষ চক্রবর্তী।
দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, সারা দেশে ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। বৃষ্টি না থামায় আমাদের টিমগুলোকে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
কবে নাগাদ গ্রাহকদের পুনঃসংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সারা দেশে ২৪ ঘণ্টা আমাদের টিম কাজ করবে। আশা করছি দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক হবে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ওজোপাডিকোর প্রায় দুই লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ছয় জেলায় এ পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
এ ছাড়া রিমালের প্রভাবে ১৯ জেলায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, রিমালের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের প্রাণহানি হয়। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার পরপরই মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন