সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০১:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

‘চিকিৎসার আড়ালে ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক ডা. আশরাফ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ করেছে।

বুধবার (২৭ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, রাজধানীর হাজারীবাগের বেড়িবাঁধে অবস্থিত ১০ শয্যার শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকসহ বহু নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ডা. আশরাফ। এ পদের প্রভাব খাটিয়ে একাধিক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। বিভিন্ন অযুহাতে কাছে ডেকে যৌন হয়রানি করেন তিনি। তবে চাকরি টিকিয়ে রাখা এবং সামাজিক লজ্জার ভয়ে দীর্ঘদিন মুখ বুজে এসব নির্যাতন সহ্য করেছেন ভুক্তভোগী নারীরা। যৌন হয়রানির শিকার একাধিক নারী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনটিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্রে উল্লেখ রয়েছে, ডা. আশরাফের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক নারী গত বছর নভেম্বরে ঢাকা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তবে অদৃশ্য কারণে তদন্ত করা হয়নি। পরে ডাঃ আশরাফের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ৮-১০ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. মুনীরুজ্জামান সিদ্দীকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গত এপ্রিলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তবে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অধিদপ্তর। গত ৬ মে এসব ভুক্তভোগী নারী ফের যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আসিব আহসানের কাছে যান। তবে তিনি তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গৃহীত সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত ঘৃণিত ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। উল্লিখিত ঘটনায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন এবং পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হলেও কী কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি তা কমিশনের নিকট বোধগম্য নয়।

কমিশন মনে করে, অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্তপূর্বক বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি যথাযথ আইনে মামলা হওয়া আবশ্যক। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, উল্লিখিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনসহ প্রতিবেদনের আলোকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১০

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১১

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১২

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৩

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৪

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৫

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

১৬

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১৭

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১৮

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১৯

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

২০
X