একটি কক্ষ, একটি ইতিহাস। না, এটি কোনো সাধারণ কক্ষ নয়। এই কক্ষ থেকে রচিত হয়েছে ইতিহাস, সৃষ্টি হয়েছে বিজয় গাঁথা।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নিউক্লিয়াস, প্রাণকেন্দ্র ও তীর্থস্থানে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই কক্ষটি। ইতিহাসের অনবদ্য অংশ হওয়া এই কক্ষ থেকে প্রচারিত প্রতিটি বক্তৃতা, বিবৃতি, আদেশ, নির্দেশ ও পরিকল্পনা শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদকে তীব্র ভূমিকম্পের মতো কাঁপিয়ে তুলত। এই কক্ষটিকে কেন্দ্র করেই আন্দোলন আবর্তিত, প্রতিবর্তিত ও পরিচালিত হয়।
আন্দোলনের হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিণত হয় এই কক্ষটি, যার কমান্ডার ইন চিফ তারেক রহমান। অতি সাধারণ এই কক্ষটি নিছক একটি কক্ষ নয়, যেন একটি পুরো বাংলাদেশ। একটি চেয়ার, একটি টেবিল, একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং বুকশেলফে সারি সারি করে রাখা বইগুলো যেন পরিণত হয় আন্দোলনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে। এই সমরাস্ত্রগুলো শেখ হাসিনার দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম হয়েছিল। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত শেখ হাসিনার মসনদে তীব্র কাঁপুনির পর পতন ঘটতে বাধ্য হয়।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হওয়া এই কক্ষটি ইতিহাসে চির সমুজ্জ্বল ও চির অম্লান হয়ে থাকবে।
লেখক : অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন সাবেক সহসভাপতি, যুক্তরাজ্য বিএনপি
মন্তব্য করুন