কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সাক্ষাৎকারে এম হুমায়ুন কবীর

বাইরের বন্ধুরা পরামর্শ দিতে পারে, তবে সমাধান আমাদেরই করতে হবে

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এম হুমায়ুন কবির। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এম হুমায়ুন কবির। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। তিনি সেপ্টেম্বর-২০১০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সচিব পদে অবসর গ্রহণ করেন। কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা

কালবেলা: যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আসছেন বাংলাদেশে। তারা আলোচনার বার্তা নিয়ে আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

এম হুমায়ুন কবীর: পত্র-পত্রিকায় এমন একটা খবর প্রকাশ হতে দেখেছি। অতিথিপরায়ন দেশ হিসেবে আমরা সব অতিথিকে স্বাগত জানাই। তবে বাইরে থেকে কেউ পরামর্শ দিলে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটা হয়তো একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোতে একটা বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। স্বাধীনতার পর থেকেই ধীরে ধীরে এ ঘাটতিটা বড় হয়েছে। বর্তমানে এটি এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, আমরা যদি এর শান্তিপূর্ণ সুরাহা না করতে পারি, তাহলে একটা বড়সড় ঝাঁকুনি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এর চেয়ে বড় ধরনের অপছন্দের বিষয় আর কিছু হতে পারে না। কারণ বাংলাদেশ এরই মধ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এর মধ্যে কোভিডের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রয়েছে, তার ওপর আছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। গত কয়েক বছরে যত মানুষের দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেই বাড়তি সুযোগটাও ইতোমধ্যে জটিলতার মধ্যে পড়েছে। মোটাদাগে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে আছে। এর দুটি চেহারা আমরা জানি। একটি হচ্ছে আমাদের ভেতরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সমস্যা, আরেকটি হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমস্যা, যা কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বুদ্ধ। এসব কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ কাঠামোতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব আমরাও এরই মধ্যে উপলব্ধি করছি। এমন অবস্থায় অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা আমাদের নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে। বাইরের বন্ধুরা বড়জোর পরামর্শ দিতে পারে। যেমনটা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দিচ্ছে, সমর্থনও দিচ্ছে। কিন্তু মৌলিক কাজগুলো আমাদেরই করতে হবে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ, তার ওপর যদি একটা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয় সেটা আমাদের জন্য বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাংলাদেশের যে সমস্যা, সেটা যদি আমরা খোলা মনে, সবাইকে নিয়ে সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করি তাহলে তার সমাধান পাওয়া সম্ভব বলে অনেকেই মনে করেন। যদি সেটি আমরা না খুঁজতে চাই, তাহলে সমাধান কখনো পাওয়া যাবে না।

কালবেলা: রাজনৈতিক দলগুলোর গতি-প্রকৃতি এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আপনি কি সমস্যার সুন্দর সমাধানের আশা করেন?

এম হুমায়ুন কবীর: আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে জায়গায় আছি, আমরা আগে কখনো এই জায়গায় ছিলাম না। আমরা যে সামাজিক জায়গায় আছি সে জায়গায়ও আগে ছিলাম না। আমাদের সমাজে এসব শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমরা যদি মোটামুটি একটি সহমতের জায়গায় থাকতে পারি, সামাজিক জায়গায় যদি একটি মোটামুটি সহমতের জায়গায় থাকতে পারি, তাহলে রাজনৈতিক জায়গায় কেন আমরা সহমতের জায়গায় যেতে পারব না? এর কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ আমি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাই না। সম্মানজনক জাতি হিসেবে আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদার চেয়ে বড় কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধ থেকে উৎসারিত হয়ে এই দেশ গঠিত হয়েছে। বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। এই আত্মত্যাগগুলো যে মৌলিক বিষয় বা লক্ষ্যকে সামনে রেখে হয়েছিল সেগুলো আমাদের সব সময় অনুপ্রাণিত করে এবং নির্দেশনা দেয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের জন্য, সেটি ছিল সাম্যভিত্তিক একটি সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে, সেটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও আত্মমর্যাদার জন্যও ছিল। এ বিষয়গুলো মনে রাখলে এখনকার প্রেক্ষাপটে এসে আমাদের প্রত্যাশা, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের সম্মানজনক সম্পর্ক রক্ষা করা কঠিন কাজ বলে আমি মনে করি না।

কালবেলা: সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সেন্টমার্টিনকে জড়িয়ে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সেটি অস্বীকার করেছে। বিষয়টি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

এম হুমায়ুন কবীর: আমরা যাই বলি সেটা তথ্য নির্ভর হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমাদের দেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দলীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে না জড়ানোই মঙ্গলজনক। স্পর্শকাতর এ সময়ে দেশ ও মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে কথা বলা ভালো বলে আমি মনে করি।

কালবেলা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন কেমন?

এম হুমায়ুন কবীর: বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক এবং বহুস্তরভিত্তিক। এক্ষেত্রে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক। এক সরকারের সঙ্গে আরেক সরকারের সম্পর্ক। এক দেশের জনগণের সঙ্গে আরেক দেশের জনগণের সম্পর্ক। এই তিনস্তরের ভিত্তিতে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করতে হবে। এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সম্পর্ককে আমি ইতিবাচক বলে মনে করি। এই সম্পর্কটি মূল্যবোধ এবং দুই দেশের স্বার্থ— এগুলোকে ঘিরে আবর্তিত হয়। বাংলাদেশের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বহুমাত্রিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পাশাপাশি মূল্যবোধ এবং নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলোকে দেখা প্রয়োজন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে রাখতে পারলে সেটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক জায়গা তৈরি করতে পারে। কালবেলা: বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সক্রিয়তার কারণ কী?

এম হুমায়ুন কবীর: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের সময়ে বর্তমান রাজনৈতিক জটিলতা থেকে উত্তরণের জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো কতটা আমলে নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয় বলে তাদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করছে। এক্ষেত্রে মনে করা যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেছে, জাপান বলেছে, কানাডা বলেছে, জাতিসংঘও একই কথা বলেছে। বস্তুত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র যারা সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন সহযোগী তারা অনেকেই একই কথা বলছে। এটি বোধগম্য নয়, এ কথাগুলো মূল্যহীন এবং আমাদের কিছুই করণীয় নেই।

কালবেলা: অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সমস্যা ঠিক করতে হবে বুঝলাম, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন?

এম হুমায়ুন কবীর: সেটা ভিন্ন কথা। আমাদের সমস্যা আমাদেরই দেখতে হবে। অন্যের দিকে আঙুল তুলে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। প্রত্যেক দেশের সমস্যা এবং তার চরিত্র আলাদা। কাজেই অন্যের কী হলো আর কী হলো না, সে কথা বলে নিজের সমস্যা যুক্তিসঙ্গতভাবে সমাধান না করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বাংলাদেশের সমস্যা বাংলাদেশের স্বাতন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আমাদের সমস্যার চরিত্রটা আমরাই ভালো বুঝি এবং আমরাই এখানে নিয়ামক শক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সে সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। অন্যদেশ কী করল বা করল না সে দৃষ্টান্ত দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া ভালো নীতিগত অবস্থান হতে পারে না।

কালবেলা: আলোচনার ক্ষেত্রে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেখানে কোনো আশার আলো দেখছেন কী?

এম হুমায়ুন কবীর: আমি বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে আশাবাদী। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে। মানুষের অসাধারণ অর্জনের সঙ্গে আমার নিজের থাকার সৌভাগ্য খানিকটা হয়েছে। এ দেশের মানুষ বছরের পর বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মনুষ্যসৃষ্ট অনেক সমস্যাও আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। সাধারণ মানুষের শক্তিতে ভর করে অর্থনৈতিক দিক দিয়েও বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের সৃজনশীলতার ওপর আমার ভরসা আছে এবং আমি আশাবাদী হতে চাই। মানুষ যা চায় তাই ঘটবে এ বিষয়ে আমি মোটামুটি আশাবাদী। তারা শান্তি চায়। তারা সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বর্তমান অস্বস্তিকর অবস্থার সমাধান চায়। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সচল সাবলীল রাখুক এটাই আমার কামনা। মানুষের চাহিদা খুব বেশি নয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের সর্বজনীন ও টেকসই অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা তাদের জীবনকে সচল রাখতে পারে, এটুকুই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষের এই প্রত্যাশাকে আমরা আমাদের দিকনির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিয়ালের জার্সিতে কবে মাঠে নামছেন এমবাপ্পে?

স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

১০

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১১

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১২

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৩

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১৪

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

১৫

হামলা মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার লালমনিরহাটের ৬ সাংবাদিক

১৬

কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জায় আত্মহত্যা

১৭

প্যারিসের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

১৮

ট্রলার উদ্ধারে গিয়ে ডুবল স্পিডবোট, সৈকতে ভেসে এল ২ মরদেহ

১৯

সিলেটে ‘অবৈধ’ নিয়োগে প্রভাষক জালিয়াতিতে অধ্যক্ষ!

২০
X