মো. ইমরান হোসেন
ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মতামত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটা’র শব্দগত স্পষ্টতা প্রয়োজন

ছবি : সৌজন্য
ছবি : সৌজন্য

সম্প্রতি প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ১ম বর্ষের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবন্ধী কোটায় হিজড়ার পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি উল্লেখ থাকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনেকেই ট্রান্সজেন্ডার কোটার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন। গত ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত একটি মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ এই কোটার মধ্যে শুধু হিজড়া শব্দটি রেখে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে মাননীয় ভিসি মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন (তথ্যসূত্র : কালের কণ্ঠ)।

কয়েকজন ঢাবি শিক্ষকও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কোটা থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া, শিক্ষকদের কিছু অভ্যন্তরীণ ফোরামেও অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বলে জানা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মূলত গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে অবহেলিত হিজড়াদের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ নামে একটি কোটা চালু করে। যদিও সেই শিক্ষাবর্ষে এই কোটায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে সাম্প্রতিককালে ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কিত দেশীয় কিছু খবর (যেমন- ট্রান্স-নারীর সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া, মহিলা হোস্টেলে সিট পাওয়া ইত্যাদি) কয়েকটি পত্রিকায় ছাপানোর কারণে মানুষের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি ঢাবির নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে নতুন করে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন হলো- ঢাবি কর্তৃপক্ষ কি ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া বলতে মূলত হিজড়াদেরই বুঝিয়েছেন, না কি দুটি আলাদা পক্ষকেই বুঝিয়েছেন? ঢাবির মাননীয় ভিসি মহোদয় ইতোমধ্যে এর উত্তর দিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকেই হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারকে ভুলবশত একই মনে করেন, কিন্তু আসলে তারা এক নয়। হিজড়া হচ্ছে কোনো মানুষের জন্মগত জেনেটিক সমস্যা (জন্মগতভাবে দৈহিক গঠনে অসম্পূর্ণ পুরুষ বা অসম্পূর্ণ নারী) যাতে তার নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আর ট্রান্সজেন্ডার (বা রূপান্তরিত লিঙ্গ) হচ্ছে মূলত এক প্রকার মানসিক অবস্থা যেখানে জন্মগতভাবে পূর্ণ দৈহিক গঠনসম্পন্ন একজন পুরুষ অথবা নারী নিজেকে মানসিকভাবে বিপরীত লিঙ্গের মতো মনে করতে পারেন।

অর্থাৎ একজন নারী হয়েও নিজেকে পুরুষ অথবা একজন পুরুষ হয়েও নিজেকে নারী মনে করতে পারেন। এরপর এই মানসিকতা শারীরিকভাবে বিকশিত করতে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় অপারেশনের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিবর্তন করে। তবে এই সংখ্যা একেবারেই কম। প্রসংগত, আমেরিকাতে প্রায় ৯৭% ক্ষেত্রেই ট্রান্স-নারীদের আগের পুরুষাঙ্গই থাকে আর ট্রান্স-পুরুষদের আগের মহিলাঙ্গই থাকে। আবার অনেকে কোনো অপারেশনও করেন না, শুধু মনে মনে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন ও বেশভূষা পরিবর্তন করেন।

একজন ট্রান্স নারী (যিনি শারীরিকভাবে আসলে পুরুষ) তার গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারবেন না কারণ তার কোনো জরায়ূ থাকে না। অন্যদিকে, একজন ট্রান্স পুরুষ (যিনি শারীরিকভাবে আসলে নারী) একজন প্রকৃত পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত ঘটাতে পারবেন না যা সন্তান জন্মদানের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। তার মানে, ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ অনুযায়ী মাত্র একটি জেনারেশন পরেই পরিবার ও সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই বলা যায়, ট্রান্সজেন্ডার মূলত একটি সমাজ বিধ্বংসী পশ্চিমা মতবাদ যা আমাদের হাজার বছরের বাঙালি পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। পশ্চিমা এই ভয়ংকর মতবাদের কুফল বুঝতে পেরে ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ (রাশিয়া, চীন, হাঙ্গেরি, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসমূহ ইত্যাদি) এটিকে আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

লিঙ্গ পরিবর্তনসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশে এই ভয়ংকর মতবাদকে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে তাহলে তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম সামাজিক বিপর্যয় ডেকে আনবে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। যেমন- (১) ট্রান্স-নারীদের দ্বারা প্রকৃত নারীরা (ক) চাকরি, ক্রীড়া, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চরম বৈষম্যের শিকার হবে; (খ) জেলখানায়, হোস্টেলে, টয়লেটে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঝুঁকিতে পড়বে; (২) মারাত্মক জনসমস্যা তৈরি হবে; (৩) উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে মারাত্মক সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে ইত্যাদি। কেউ কেউ হয়তোবা ‘সামাজিক অন্তর্ভুক্তি’ (Social Inclusion) নীতির দোহাই দিয়ে ট্রান্সজেন্ডারকে সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলবেন। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, যে মতবাদকে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করলে পুরো সমাজব্যবস্থাই একসময় ভেঙে পড়ার ও বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে মতবাদকে পরিপূর্ণভাবে বর্জন করাটাই বরং বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি?

এখন ঢাবির মাননীয় ভিসি মহোদয়ের উত্তর প্রসঙ্গে ফিরে আসি। তিনি বলেছেন, ‘স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন না। নারী ও পুরুষ ছাড়া যারা জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে অন্য লিঙ্গের, তারাই এই কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন’ (সূত্র : কালের কণ্ঠ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩)।

প্রথমেই মাননীয় ভিসি মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই এই কোটার মূল উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার করার জন্য, এই কোটা শুধু জন্মগতভাবে যারা হিজড়া তাদের জন্য, স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারী ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য নয়। তবে, এখনও এখানে শব্দগত বিভ্রান্তির কারণে communication gap-এর একটি ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ মাননীয় ভিসি মহোদয় যদিও মৌখিকভাবে বলেছেন, কিন্তু ভর্তি বিজ্ঞপ্তির কোথাও এ কথা লেখা নেই, ট্রান্সজেন্ডার বলতে জন্মগত ও প্রকৃতিগত হিজড়াদেরই বুঝানো হয়েছে। ফলে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কাছে এই কোটার বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। তাছাড়া, স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারী কোনো ট্রান্সজেন্ডার যদি ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়কে এসে বলে তাকে এই কোটা দিতে হবে কারণ ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও লিখিত নেই, এই ট্রান্সজেন্ডার বলতে জন্মগত ও প্রকৃতিগত হিজড়াকেই বুঝানো হয়েছে, এবং বর্তমানে সারা বিশ্বে ট্রান্সজেন্ডার বলতে স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তন করাকেই বুঝায়, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর উত্তর কি দিবেন?

এমতাবস্থায়, এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি ট্রান্সজেন্ডার শব্দটিকেই এই কোটার নাম থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে শুধু হিজড়া কোটা নামেই রাখা হয়। আর যদি হিজড়ার ইংরেজি শব্দ দিতেই হয়, সেক্ষেত্রে Transgender না দিয়ে Intersex শব্দটি দেওয়া যেতে পারে যেটি হিজড়া শব্দের সবচেয়ে কাছাকাছি ইংরেজি অনুবাদ। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান, কারণ বর্তমান বিশ্বে ট্রান্সজেন্ডার কথাটি সম্পূর্ণরূপে অন্য একটি দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবহার করা হয়- যেমন : বিশ্বে সমকামিতার প্রচারকারী সংগঠন LGBTQ-এর T দ্বারা Transgender-কে বুঝানো হয়। এমনকি, বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার ও সমতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’-এর প্রেসিডেন্ট জয়া সিকদারের ভাষ্য অনুযায়ী- ‘The terms ‘Transgender’ and ‘Hijra’ are not the same’। তাই, প্রকৃত হিজড়াদেরই সুযোগ দেওয়া যেহেতু ঢাবির এই কোটার মূল উদ্দেশ্য, তাই কোটার নাম থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটিকে বাদ দিয়ে শুধু হিজড়া কথাটা রাখলেই আর কোনো communication gap থাকে না।

আর যদি কোটার বর্তমান ফরম্যাট অনুযায়ী ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া দুটি শব্দই রাখতে হয় এবং মাননীয় ভিসি মহোদয়ের কথা অনুযায়ী ট্রান্সজেন্ডার বলতে এখানে শুধু প্রকৃত হিজড়াদেরই বুঝানো হয়, তাহলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এই কোটার সাথে একটা ব্যাখ্যা/পাদটীকা অবশ্যই দেওয়া উচিত- ‘এখানে ট্রান্সজেন্ডার বলতে জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে হিজড়াদেরই বোঝানো হয়েছে, স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারীদের নয়।’ তাহলে, এই কোটা নিয়ে communication gap অনেকাংশেই লাঘব হবে।

আশা করি, সমাজ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঢাবি প্রশাসন দ্রুত এই শব্দগত বিভ্রান্তির লিখিত সমাধান করবেন। যেই ট্রান্সজেন্ডার শব্দের দ্বারা সমাজবিধ্বংসী মতবাদকে বোঝানো হয়, সেই শব্দকে এই কোটার মধ্যে না রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যাতে করে শব্দের মারপ্যাচের কারণে ভবিষ্যতে কেউ এই কোটার কোনো অপব্যবহার করার সুযোগ না পায়।

মো. ইমরান হোসেন : সহযোগী অধ্যাপক, ফিন্যান্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড এ পিএইচডি অধ্যয়নরত।

ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন : সহযোগী অধ্যাপক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। সেক্স চেঞ্জ ফিল্ডে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর-এ ৬ বছরব্যাপী পিএইডি গবেষণা করেছেন, দেশে ১১ বছর ধরে জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করছেন

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাম্পের কথায় ‘ভারত-পাকিস্তান উভয়েই খুশি হয়েছে’

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৩০

মানবাকৃতিতে জে-১০সি বানিয়ে পাকিস্তানের বাহিনীকে শ্রদ্ধা

পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত, এরপর?

‘সুপার পাওয়ার’ ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান

ভারত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা নাও করতে পারে : বিলাওয়াল

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৬ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা : সিইউজে ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

১৬ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

সহজ জয়ে লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত বার্সার

১১

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ডায়াবেটিসজনিত পায়ের ক্ষত ও পিআরপি চিকিৎসা

১২

শ্রমিকদল নেতা হত্যায় গ্রেপ্তার আরেক শ্রমিক দল নেতা

১৩

বিএনপির এক নিভৃত নেতৃত্ব আতিকুর রহমান রুমন

১৪

১৪ মে-কে জবির ‘কালো দিবস’ ঘোষণা, নতুন কর্মসূচি গণ-অনশন

১৫

জামালপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা—সভাপতি সুমিল, সম্পাদক শফিক

১৬

মানবিক করিডোর ও বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত দেশবাসী মেনে নেবে না : জমিয়ত

১৭

বকেয়া বেতনসহ ৩ দফা দাবি মউশিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

১৮

আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গণ-অনশন

১৯

জ্বালানির দাম কমায় ফ্লাইটে ভাড়া কমানোর আশ্বাস

২০
X