ফেরদাউস আরা বেগম
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেট্রোরেলের নারী যাত্রী এবং এর ব্যবস্থাপনা উন্নত হোক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে গত ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে গত ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু একটি যুগান্তকারী সাফল্য। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি নতুন বাড়তি সেবা পাচ্ছে যা জনসাধারণের বিশেষ করে অফিসযাত্রী যারা বাসে-রিকশায়, মিনিবাসে যাত্রাপথে এ যাবৎ দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হয়েছে তাদের অনেকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। বিশেষ করে নারী অফিসযাত্রীদের জন্য এটি বাড়তি সুখবর। মেট্রোরেলে আবার দুটো কম্পার্টমেন্ট আলাদা করে নির্ধারিত রয়েছে নারী এবং বয়স্কদের জন্য, এটা তো ভাবাই যায় না, পৃথিবীর কোনো দেশে এ সুযোগ আছে কিনা জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের চাকরিজীবী নারীরা এ সুবিধা এখন ভোগ করতে শুরু করেছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাসচালকরা সাধারণত কিছুটা বয়স্ক, নারী, বা কোনোভাবে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড কাউকে বাসে যাত্রী হিসেবে পেতে তেমন পছন্দ করেন না। অথচ মেট্রোতে পরিষ্কার করে লেখা আছে যে, বয়স্ক, অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বাদের বসতে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।

অন্যদিকে এ যাবৎ বাসস্টেশন বলতে কিছু দেখা যায়নি, যেখানে রোদে বা বৃষ্টিতে একটু দাঁড়ানো যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তো কোনো বালাই নেই , হেলপারের চিৎকার, রাস্তাঘাটের হর্নের শব্দের সঙ্গে প্রচণ্ড গরম, রোদবৃষ্টি মাথায় নিয়ে যেসব অফিসযাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করেছে তাদের সকলের জন্য মেট্রোরেল একটি আশীর্বাদ ।

দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বৎসর থেকে মিরপুর-মতিঝিলে আসা যাওয়া করছি। প্রথম যেদিন মেট্রোতে অফিসে আসলাম আনন্দটা ধরে রাখতে পারছিলাম না। এ সুবিধা চিরদিন বজায় থাকুক এটাই ছিল প্রার্থনা । প্রথম দিকে যাত্রীর ভিড় অনেক কম ছিল। সব স্টেশন চালুও ছিল না। অনেকেরই, পথে বই পড়া, গান শোনা সম্ভব ছিল। অনেকটা একেবারেই সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে।

আগে মাত্র দু-তিনটি স্টেশন টাচ করত, এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সব কটা স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করছে, ধীরে ধীরে যাত্রীসংখ্যা অনেক বাড়ছে। নারী যাত্রীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে এ অল্প দিনের মধ্যই শিডিউলে ঝামেলা হচ্ছে। সম্প্রতি একদিন সকালে পরপর দুটো শিডিউল এ গাড়ি না থাকায়, যাত্রীদের অসন্তোষ দেখা দেয়। কার্ড পাঞ্চ না হওয়ায় যাত্রীরা বুঝতে পারে যে ট্রেন ঠিক সময়ে আসছে না। তারপর সবগুলো শিডিউলের যাত্রী এক গাড়িতে উঠলে যা হয় তাই হয়েছে। এটা আগে জানানো হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হতে পারত।

সম্প্রতি আবার নুতন সমস্যা। মেট্রো ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে হয়তো ব্যাপকসংখ্যক নারী পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। জানতে চাইলে একজন পুলিশ জানাল ৩৪ জন নারী পুলিশ দেওয়া হয়েছে নারী যাত্রীদের দেখাশোনা করার জন্য। তারা গাড়ির ভেতরে কী ধরনের দেখাশোনা করবে জানতে চাইলে একজন বলল যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাকি পুরুষ যাত্রী নারী কম্পার্টমেন্টে উঠে যায় সেগুলো যাতে না হয় তা দেখার জন্য। আমি অবশ্য বুঝতে পারলাম না। এ কারণে এত অধিকসংখ্যক পুলিশের কী দরকার।

তারপর আবার আরেক সমস্যা প্রায় ১০-১৫ জন নারী পুলিশ মহিলা কম্পারর্টমেন্টজুড়ে জায়গা দখল করে বসে আছে। একে অধিক যাত্রী, তারপর বসতে না পারা, কিছু চাকরিজীবী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, তাদের দেখে নেয়া হবে তাও বললেন। নারী পুলিশের এককথা, আমরা বসতে পারব না এটা কোথায় বলা আছে, তারা কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগের অনুরোধ জানাল এবং নম্বর দিতে চাইল। তারপর যা হওয়ার তাই হলো, তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা চলল দীর্ঘ সময় ধরে, নারী পুলিশ জায়গা ছেড়ে উঠবে না আবার নারী যাত্রীরাও বলছে যে তারা ভাড়া দিয়ে ট্রেনে উঠেছেন অথচ নারী পুলিশ ভাড়া দিয়ে উঠে নাই, তারা এসেছে নারী যাত্রীদের দেখাশোনার জন্য। এসব ঘটনা ঘটলে যাতায়াতের আনন্দটা আর কোথায় থাকল ।

অথচ দুদিন আগেও মনে হয়েছিল, কী যেন পেয়েছি। কেউ পড়াশোনা করছে, কেউ পাশের যাত্রীর সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছে অর্থাৎ যাত্রাপথে কারোর কোনো উদ্বেগ নেই। অর্থাৎ সব দিকে সুরক্ষা, সেফটি রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বেশভূষা ভালো সঙ্গে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার, দেখে বোঝা যায় এত সকালে মেট্রোতে তাই নিশ্চয়ই অফিসযাত্রী। আগে প্রতিদিনের কর্মজীবন থেকে কম করে হলেও প্রায় ২-৩ ঘণ্টা সময় গড়ে ব্যয় হয়েছে যাতায়াতে। রাজনৈতিক কার্যকলাপ, রাস্তায় মিটিং, মিছিল থাকলে তো আর কথাই নেই, শুধু ফিরে যেতেই প্রায় তিন ঘণ্টা। এ ছাড়া তেলের খরচ, পরিবেশ প্রতিবেশের যন্ত্রণা, রাস্তাঘাটের অনিশ্চয়তা তো আছেই।

যে আনন্দ আমি সকলের কাছে প্রকাশ করেছিলাম তা মুহূর্তে মলিন হয়ে গেল। বিশেষ করে অফিসের কলিগদের কাছে অনেক প্রশংসা করেছি। পরিচিতজনদের কেউ কেউ কিছুটা ঈর্ষাও প্রকাশ করেছিল। কারণ তদের জন্য এ সুবিধা এখনও তৈরি হয়নি। মনে মনে প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্যবার আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছি এ রকম একটি সাহসী প্রকল্প গ্রহণের জন্য যার সুবিধা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করছে এবং নুতন প্রজন্ম ভবিষ্যতেও করবে। উদ্বোধনীর পঞ্চম দিনে প্রথম মেট্রোতে উঠেছিলাম, মিরপুর দশ নাম্বারের দুদিকের এন্ট্রি থেকেই সকল বয়সী প্রচুর লোক লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনছে এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে ট্রেনে উঠছে, সকলের মুখে আনন্দ।

প্রথম দিকে একেবারে ঠিক সময়ে ট্রেন এসেছে এবং ছেড়ে গেছে, যা অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়েছিল। এ ব্যবস্থাটি চালু রাখার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। ট্রেন ও স্টেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়ম মেনে ট্রেনে ওঠা এবং নামা সকল ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে যাতে আমাদের এ জাতীয় সম্পদ বহুদিন ধরে রাখতে এবং ব্যবহার করতে পারি। অনেক শ্রম, খরচ এবং ঝুঁকি নিয়ে এ সেবা চালু করা হয়েছে।

মতিঝিলের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এখানে প্রচুর ছোট ছোট দোকানি রাস্তার পাশে তাদের বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসে, এর মধ্য ফল থেকে শুরু করে তরিতরকারি, সাধারণ তৈজসপত্র, খাদ্যপণ্যও রয়েছে, অফিস ফেরত অনেকেই ফেরার পথে কিছু কিনে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ছোট ছোট হোটেল রয়েছে অসংখ্য । সকালের নাশতা অনেকেই অফিসেই করে থাকেন যদিও নিয়মের বাইরে, কিন্তু কী আর করা। সাড়ে আটটার অফিস করার জন্য অনেকেই হয়তো রওনা হয়েছে সাতটার মধ্য অত সকালে সব কিছু সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

প্রায় সতেরো কোটি লোকের দেশে রাজধানী ঢাকাকে সবকিছু নিয়ে তৈরি থাকতে হচ্ছে। তার মধ্য বিশাল বিশাল পিলার, বেষ্টনী, সাইন বোর্ড, রাস্তা তৈরির মাল-মসলা, যন্ত্রপাতি, শ্রমিকসহ অতিরিক্ত মানুষ এসব তো আছেই। অনেক ধকল সয়ে শহরবাসী যে উপহার পেয়েছে তার জন্য সকলেই খুশি।

অনেকেই প্রতিদিন আসা যাওয়ার পথে দিন গুনেছেন কবে এ প্রস্ততি পরিণতি পাবে, দেখতে পাব, ট্রেন চলতে শুরু করেছে, সব অফিস যাত্রী নিশ্চিন্তে অফিসে ঢুকছে, ফেরার পথেও মেট্রোস্টেশনে দাড়ালেই হল, সর্বক্ষণই ট্রেন আসছে আর যাচ্ছে। স্বপ্ন অবশেষে সত্য হলো গত বছরের নভেম্বরের চার তারিখে। প্রথমে স্বল্প পরিসরে যাত্রা হয়েছিল। শুরুতে এমনটাই স্বাভাবিক, ধীরে ধীরে এর বিস্তার হবে। সারাদিন ধরে চলবে এ ট্রেন। অজস্র মানুষ এ সুবিধা ভোগ করবে।

নুতন স্টেশনগুলো যেমন বিজয় সরণি, কাওরান বাজার, শাহবাগ, এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি এরই মধ্যে চালু হয়েছে এখন অপেক্ষা কবে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোর পা পড়বে। একজন ডাক্তার যিনি বিএসএমএমইউতে কাজ করেন তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তিনি সচিবালয়ে নামলেন, সেখান থেকে রিকশায় শাহবাগ যাবেন, বললেন অপেক্ষায় আছি কখন নুতন স্টেশনগুলো কার্যকর হবে। এরই মধ্যে শাহবাগ স্টেশন চালু হয়েছে।

আগারগাঁওয়ের ল্যান্ডিংটা বেশ জটিল। এক্ষেত্রে ল্যান্ড অ্যাকুইজিসনের বিষয়টি প্লানিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা দরকার ছিল। ফুটপাতই সম্বল। একসাথে অনেক লোক প্রবেশ এবং বের হওয়া বেশ কঠিন। সবগুলো স্টেশন চালু হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।

মেট্রোতে ঢোকার পথে বড় বড় বাস দাঁড়িয়ে থাকে। হয়তো তারা কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণও। কারণ তাদের যাত্রীদের ভাগ বসিয়েছে মেট্রো, যে একাই কিনা ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার যাত্রী বহন করবে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল প্রায় নয় কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে মাত্র পনেরো থেকে বিশ মিনিটে। যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছিল তাতে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ এবং কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে এটা পায় ছয় লাখ বা তার থেকেও বেশি মানুষ চলাচল করতে পারবে।

ভাড়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে, অনেকেরই মতে ভাড়া একটু বেশি। তবে আমি এর সঙ্গে একমত নই, মানুষ একটু স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারলে একটু বেশি পয়সা ব্যয় করতে কেউ দ্বিমত করবে না। এ ছাড়া ইতোমধ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেড এমারটি পাস ইস্যু করেছে, যার সব নিয়মাবলি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এটি সংগ্রহ করা এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। এতে বেশ অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে যাতায়াত সম্ভব হবে।

এ ছাড়া হয়তো শুরু বলেই বা প্লানিংয়ের সময় চিন্তা করা হয়নি, সেটা হল স্পিড। মেট্রোতে সবাই দ্রুত তাদের গন্তব্যে যাবে এটাই আশা করে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যেটা হয়ে থাকে, আমরা সকলের তুলনায় দেরিতে শুরু করে পিছিয়ে থাকতে পারি না। বর্তমানে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার স্পিডে চলছে মেট্রোরেল। সব স্টেশন চালু হলে গতি আরো কমে আসতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। বিষয়টি দ্রুত বিবেচনার দাবি রাখে।

সর্বোপরি বেঁচে থাকুক মেট্রো আর বাড়ুক গতি যাতে অধিকসংখক মানুষ এটি ব্যবহার করতে পার। যে অর্থ যানবাহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যয় হয়েছে তার সদ্ব্যবহার করে মানুষের বেসিক প্রয়োজন পূরণ হোক এবং সে সঙ্গে তাদের কর্ম দক্ষতা বাড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক সেটাই সকলের আশা। তবে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নজরে রাখতেই হবে। সকলের আস্থা যাতে অক্ষুণ্ন থাকে।

ফেরদাউস আরা বেগম: সিইও, বিল্ড-একটি পাবলিক প্রাইভেট ডায়ালগ প্ল্যাটফর্ম, যা বেসরকারি খাতের জন্য কাজ করে

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খেলাধুলা-সাংস্কৃতিতে দক্ষরাই বিশেষ মেধাসম্পন্ন : জবি উপাচার্য 

চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজকে ইসিতে সশরীরে তলব, প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কা

বজ্রপাতে রানওয়ের ক্ষতি, নামতে পারেনি বিমানের ফ্লাইট

ভদ্রতা দেখাব সর্বোচ্চ, আইনের প্রয়োগ হবে শতভাগ : এসপি সাতক্ষীরা 

ভাতিজার হাতে চাচা খুন, মামলা দায়ের

কুঁচিয়া বিক্রি করে সংসার চালান খোকন

আ.লীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ৩০০

বিশ্বসেরা কোচ, তবুও তারা কেন বেকার?

ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

১০

ইরানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা

১১

অটোরিকশাচালকদের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে সরকার :  রিজভী 

১২

২৫০০ অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে মামলা

১৩

নবীনদের চাকরি দিচ্ছে ওয়ালটন

১৪

দিনাজপুরে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন

১৫

বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় নিহত ২

১৬

শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটাল যুবলীগ নেতা

১৭

বুনো হাতির তাণ্ডবে নির্ঘুম রাত কাটছে গ্রামবাসীর

১৮

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের

১৯

অসাধারণ ক্লপের আবেগঘন বিদায়

২০
X