ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কিছু নব্যবিএনপি গজিয়েছে। এরা হচ্ছে আওয়ামী প্রেতাত্মা। এই প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট, মার্কেটে গিয়ে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, দখলদারি করার চেষ্টা করছে। এই দুষ্কৃতকারীরা বিএনপির কেউ নয়। তাদের দমন করতে হবে।
রোববার (১৮ আগস্ট) গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর তুরাগ থানা বিএনপির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড় মসজিদের সামনে জমজম টাওয়ারের সামনে দিয়ে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষসহ সবার উদ্দেশ্যে আমিনুল হক বলেন, এখন থেকে আপনারা আর কাউকে চাঁদা দিবেন না। যদি কেউ চাঁদা চায়, কোনো দখলদারি করার চেষ্টা করে আপনারা সকলে ওই দুষ্কৃতকারীকে পুলিশে বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে, বাংলাদেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর কেন জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন ও হত্যা দেখতে চাই না। দেশের ছাত্র-জনতাকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যে রক্তের প্রবাহ দেখেছি, সেই রক্ত আর দেখতে চাই না। স্বৈরাচার সরকার যেভাবে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, আমরা বাংলাদেশে আর এই পরিবেশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মানবাধিকার আর যেন কখনও লুণ্ঠিত না হয় এ বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আমিনুল হক।
বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আখতার হোসেন, মোস্তফা জামান, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, আফাজ উদ্দীন আফাজ, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, চাঁন মিয়া, আলী আহমেদ, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সবুজ, মহিউদ্দিন তারেক, দক্ষিণখান থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন