অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো বিভিন্ন অধিদপ্তর-মন্ত্রণালয়ে স্বপদে বহাল রয়েছে। তারা আবার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা, তারা এখনো সেখানে থাকে কী করে? জনগণ চায়, অবিলম্বে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা সরকারের দোসর এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট হোতাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি হিন্দুস্থানের রাজা হতে পারেন, কিন্তু বাংলাদেশের কিছুই না। বাংলাদেশ নিয়ে কটূক্তি করবেন- এ দেশের জনগণ এটা মেনে নেবে না। আপনি বাংলাদেশকে বাজারে রূপান্তরিত করবেন- সেটা হবে না। এটা কিন্তু আবু সাঈদের রক্তের সরকার। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সরকার। এ সরকারকে অবহেলা করার কিছু নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে ব্যক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করেছিল, অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে, ইলিয়াস আলী-চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকে গুম করেছে- সেই শেখ হাসিনা আজ আর বাংলাদেশে নেই, ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাই আজ আমরা স্বাধীন, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আজ দেশে শেখ হাসিনা নেই, তারপরও কেন আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে? কারণ, আমাদের ভয় হয়। শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। গরিব-দুঃখীর পেটে লাথি মেরেছে। তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় এখনো প্রতিষ্ঠিত, তারা আবার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, তারা যেন আবার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ না করে।’
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, মৎস্যজীবী দল নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মোটরচালক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিম রেজা বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিপন বাঁকাউল প্রমুখ নেতা।
মন্তব্য করুন