ছাত্রলীগের নৈরাজ্য জাহেলি যুগের বর্বরতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউলকে হত্যা এবং ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের ওপর নিপীড়ন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর।
রোববার (৬ আগস্ট) দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বর্তমান ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে ফিকে হয়ে যাচ্ছে তাদের অতীতের সব অর্জন। দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী ছাত্রলীগ হয়ে উঠছে অপরাধীদের অভয়ারণ্য। দল ক্ষমতায় থাকায় ছাত্রলীগ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ছাত্র পিটিয়ে তাদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে খুব সহজ ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে শো-ডাউনের রাস্তা ও হলগুলোকে টর্চার সেল বানিয়েছে ছাত্রলীগ।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ছাত্রলীগের নৈরাজ্য শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসের বাইরেও। ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে হেনস্তা থেকে শুরু করে খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ।’
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউলকে হত্যা নতুন নয়, গত ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর আলোচিত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আবরার হত্যার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও দেশের যে কয়টি বিদ্যাপিঠে ছাত্র রাজনীতি আছে, সবকটিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নৈরাজ্য। ছাত্রলীগের রাজনীতিকে সন্ত্রাসী রাজনীতি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সারা দেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য রুখে দিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন : মামলা না করে ফিরে গেলেন হিরো আলম
মন্তব্য করুন