বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে আর কখনো কোনো দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ করা হবে না।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর কাফরুল থানা বনাম রূপনগর থানার উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকার দেশের সব রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চভাবে দলীয়করণ করেছে। স্বৈরাচারের আমলে কোথাও কেউ সরকারি ও বেসরকারি চাকরির জন্য আবেদন করলে তার পরিবারের ভেতরে ডিএনএ টেস্ট করে নেওয়া হতো। সেই পরিবার আওয়ামী লীগ করে কিনা। যদি কারও পরিবারে বিএনপির নাম-গন্ধ থাকত তাহলে তার চাকরি গত ১৭ বছরে হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচনের কথা বলে তখন অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরের একটি মহল তারা রাষ্ট্র সংস্কার এবং স্বৈরাচারের বিচারের অজুহাতে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। এ দেশের সাধারণ মানুষ ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। মানুষ তার ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বারবার নির্বাচন চাইলেও তারা নির্বাচন দিচ্ছে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমিনুল হক আরও বলেন, আপনারা স্বৈরাচারের বিচারের কথা বলেন, আমরাও সহমত করছি। সবার আগে এই স্বৈরাচারের বিচার আমরা দাবি করেছি। আপনারা সংস্কারের কথা বলেন, কিন্তু আমরা সংস্কারের কথা বলেছি আরও দুই বছর আগে। কিন্তু আপনারা ৫ আগস্টের পরে এসে সংস্কারের কথা বলছেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি রাজনীতি করে এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। জনগণের কল্যাণ করাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূল শক্তি এবং লক্ষ্য। এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা সুন্দর এবং স্বচ্ছ ধারার একটি রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে চাই।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশকে পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করবে বলে আমিনুল হক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আকতার হোসেন, হাজি মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, শামীম পারভেজ, হাফিজুল হাসান শুভ্র, হাজি নাসির উদ্দীন, কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক আকরাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি, কাফরুল থানার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এসএম আনসার আলী, থানা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, শেখ হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির নয়ন, থানা সিনিয়র সদস্য এম আশরাফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা হাজি মো. রতন মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন