আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধা কোথায়- অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে মাওলানা আবদুল মতীনের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর আলী রীয়াজ সাহেব বলেছেন, মে মাসের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাক্রমে তারা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন যেখানে বুঝা যাবে যে, কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে সব রাজনৈতিক দল একমত। কোন কোন সংস্কারের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত আছে। মে মাসের মধ্যে বুঝতে পারলে, জুন মাসের মধ্যে এই কাজটা কি সম্ভব না- যেসব প্রস্তাব সবাই আমরা একমত সেটা একত্র করে একটা সনদ তৈরি করা। আমরা সবাই সেখানে স্বাক্ষর করলাম এবং সবাই একমত হলাম সংস্কারগুলো অবিলম্বে কার্য্কর করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আইনের মাধ্যমে অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা করা যাবে সেটা এখনই হবে। যেটা সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে সেটা আগামী নির্বাচিত সংসদে হবে। সবাই একমত হয়ে দস্তখত করে দিলাম আমরা এবং সে অনুযায়ী আগামী দিনে কাজ চলবে। এই কাজটা যদি জুন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়, এমনকি যদি জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভব হয় তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধাটা কোথায়?
নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন রেখে বলেন, কারও গোছানোর সময় দরকার? কারও বন্ধু জোগাড়ের জন্য কিছু সময় দরকার? সেজন্য জনগণের ভোট দেওয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার এটা বিলম্বিত হবে। এটা তো হতে পারে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা মনে করি, আমরা যে দাবি করেছি (ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন) এটা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং এর বিরুদ্ধে যৌক্তিক কোনো প্রস্তাব বা কোনো বক্তব্য কেউ হাজির করতে পারেনি। সেজন্য আবার বলছি, এ দেশের নানা ধরনের সমস্যা থাকে সেটা এড্রেস করার জন্য, সেটা মোকাবিলা করার জন্য সেটা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক শক্তির কোনো বিকল্প নাই, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা যত দ্রুত আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝবে তত ভালো।
মন্তব্য করুন