জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংস্কারের নামে গোপনে চাঁদাবাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বর্ষপূতিতে শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) ঢাকা কেন্দ্র।
আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বিপ্লবের পর ছাত্রনেতারা (এনসিপি) ভালো পথে হাঁটবেন। কিন্তু আমরা দেখছি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যেমন একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে আরেকদিকে উন্নয়নের নামে বড় প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করত। ঠিক তেমনি বর্তমানে কথায় কথায় জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সামনে রেখে মুখে মুখে সংস্কার আবার গোপনে গোপনে চাঁদাবাজি। এগুলো আমাদের লজ্জা লাগে। সবার জানা উচিত এই দলটি (এনসিপি) কেন এটা করছে। আমার মনে হয়- এনসিপি আপনারা মেইন স্ট্রিম থেকে দূরে সরে গেছেন। সঠিক পথে ফিরে আসুন। আমরা শহীদের পাশে থাকব, আপনাদের বদনামের ভাগ নেব না।
প্রকৌশলী বকুল বলেন, যে কোনো বিপ্লবের পর দেশের মানুষ নতুন কিছু তথা পরিবর্তন আশা করে। যেন দেশটা আইনি শাসনের দিকে এগিয়ে যায়। মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে একটি নির্বাচনের জন্য। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা তিনটি নির্বাচন তার পকেটে নিয়েছিল। কোনো ডামি, কোনোটা রাতের আবার কোনো ভোটারবিহীন। তবে এসব কিছু করে তিনি থাকতে পারেননি। জনগণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সেখান থেকে আমাদের শিখতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিন্তু জুলাই আন্দোলনের মহানায়ক। তার নেতৃত্বে বিএনপি ১ দফা আন্দোলন নিয়ে মাঠে না নামলে শেখ হাসিনার পতন হতো না।
আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোহবান, এ্যাবের সাবেক মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ, আইইবি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সদস্য প্রকৌশলী লোকমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শহীদ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ আসাদুল ইয়ামিন, শহীদ রবিউল ইসলাম লিমন, শহীদ রাব্বি মিয়া, শহীদ রাকিব হোসাইন, শহীদ আহনাফ আবির, শহীদ অয়ন এবং শহীদ রুদ্রর পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত এবং জিয়াউর রহমানের পরিবারের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বিগত ১৫ বছর গুম-খুন, জুলুম নির্যাতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মন্তব্য করুন