বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে যতই কথা বলেন, প্রচারণায় কেউ পিছিয়ে নেই। পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা পিআর বুঝি না। যে দেশে আছে তাদের কী অবস্থা তাও জানি না। যারা ফ্যাসিবাদীর সঙ্গে আঁতাত করেছে তারাই এ বিশেষ পদ্ধতি চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তা হবে দেশের জন্য ভয়ঙ্কর।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লালবাগ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মরহুম দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ সংলগ্ন কেল্লার মোড় শ্মশান ঘাটে শারদীয় দুর্গা উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা-৭ আসনের বিভিন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্কে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মির্জা ফখরুলকে ফেলে চলে গেলেন। আর প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেলেন। বাকিরা হেনস্তার শিকার হলেন। এটা কি অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র?
তিনি বলেন, এ সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু দু-একটি দল সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে। তিনটি মন্ত্রণালয় সরকারের হাতে নেই। আমরা চুপ আছি বলে কি এটি আমাদের দুর্বলতা?
বিএনপির এই নেতা বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। এর জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে পূজামণ্ডপ পাহারা দিতে হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দিবে এজন্য অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। আজকে দেখছি দলের অভাব নেই। একদলের এক এলাকায় একজনই প্রার্থী হয়। সব প্রার্থী মিলে আগে ধানের শীষে ভোট চাইবেন, তবেই জয় আসবে। বিভক্ত হয়ে ভোট চাইলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি মনির হোসেন, সদস্য আনোয়ার পারভেজ বাদল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি, রবিন হোসেনসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা।
মন্তব্য করুন