বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মাঠে বল গড়ানোর আগেই জমে উঠেছে উত্তাপ। ভোটার তালিকা প্রকাশ থেকে শুরু করে আদালতের রিট, এখন আবার যুক্ত হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদের সরব অবস্থান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিতর্ক। এ নিয়েই মুখ খুললেন বিসিবির ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
তিনি শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না যে বর্তমান ক্রিকেটাররা বোর্ডের নির্বাচনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলছে। এটা তাদের কন্ট্রাক্টের সরাসরি ভায়োলেশন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো খুবই দুঃখজনক। দুই বছর আগে, পাঁচ বছর আগে—এমনটা আমরা দেখেছি, এখনো হচ্ছে। যারা এটা করাচ্ছেন, তাদের শেইম ফিল করা উচিত।’
এর আগে সভাপতি আমিনুল ইসলামের চিঠি ঘিরে রিট, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও আপিল বিভাগের হস্তক্ষেপে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অবশেষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ১৭৭ জন কাউন্সিলরের নাম প্রকাশ করে।
এমন প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন নিজের ফেসবুকে লেখেন— ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ঘটছে, এসব কাম্য নয়। আমরা চাই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’
জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেনও একই সুরে বলেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো—কখন কার ভাগ্য জোটে বলা মুশকিল। সুন্দর পরিবেশে বোর্ড নির্বাচন হোক। যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।’
প্রসঙ্গত, বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হবে—
* জেলা ও বিভাগীয় ভোটে ১০ পরিচালক
* ক্লাব ভোটে ১২ পরিচালক
* বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার ভোটে ১ পরিচালক
এরপর নির্বাচিত ২৫ পরিচালক মিলেই ঠিক করবেন নতুন সভাপতি।
সব মিলিয়ে, মাঠের ক্রিকেটে লড়াই থেমে থাকলেও, নির্বাচনের আগে বোর্ড ঘিরে শুরু হয়েছে এক ভিন্নধর্মী ম্যাচ, যেখানে ফলাফলের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতে।
মন্তব্য করুন