চলতি বছর জুন মাসে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারা সেখানে দীর্ঘ সময় কথা বলেন বিভিন্ন বিষয়ে। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো চিত্র গণমাধ্যমে আসেনি। এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা তারেক রহমানের কাছে জানতে চেয়েছিল, তাদের মধ্যে সেই বৈঠকে নির্বাচনের বাইরে আর কোনো বিষয় আলোচিত হয়েছে কি না।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে এ প্রশ্নে জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘উনি একজন স্বনামধন্য মানুষ। অত্যন্ত বিজ্ঞ মানুষ উনি। তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জনগণ যদি আপনাদের সুযোগ দেয় তাহলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য—এই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।’
তারেক রহমান, ‘দেশের মানুষ, জনগণ এবং দেশকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তাভাবনা, আমরা দেশের মানুষের জন্য কী করতে চাই সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ ছাড়াও বিবিসির বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত এক বছর ধরে ভারতে সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা দেখা গেছে। বিএনপি সরকারে এলে এ ক্ষেত্রে কোনো পরবর্তন আসবে কি না বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেবেন কি না।
জবাবে তারেক রহমান বলেন, তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সুতরাং, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।
এ সময় তারেক রহমান বিএনপির রাজনীতির পরিবর্তন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ও সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
মন্তব্য করুন