চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ঘটল এক বিতর্ক। পাকিস্তানের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রান আউট হন দলটির ব্যাটার মুনিবা আলি; কিন্তু তিনি মাঠ ছাড়তে চাননি। ড্রেসিংরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান পাক অধিনায়ক ফাতিমা সানা। যদিও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুনিবাকে। বিতর্কিত এই আউটের ব্যাখ্যা দিয়ে ক্রিকেট আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) জানিয়েছে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
এমসিসি ওই আউটের ব্যাখ্যায় বলেছে, অনেকে ৩০.১.২ ধারা টেনে দাবি করছেন মুনিবা আউট ছিল না। কিন্তু ওই আইন শুধু ব্যাটারের ‘দৌড়ানো ও ডাইভ দেওয়া’র সময় কার্যকর।
এমসিসির ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘বাউন্সিং ব্যাট ল নামে পরিচিত আইন মূলত ব্যাটারকে রক্ষা করে যখন দৌড়াতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে কিংবা দৌড়ানোর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে দুই পা সাময়িকভাবে বাতাসে উঠে গিয়ে ক্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। তবে মুনিবার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে—ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট বাতাসে তুলে নেয়, তখন এই আইন প্রযোজ্য নয়। থার্ড আম্পায়ারের আউটেরর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, “এখানে আইনের কয়েকটি দিক বিবেচনার আছে। প্রথম ও সবচেয়ে সহজ বিষয় হলো জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন মানেই বল ‘ডেড’ হয়ে গেছে, এমনটা নয়। আম্পায়ার আবেদনটি নটআউট ঘোষণা করেছেন, বল তখনো উইকেটকিপারের হাতে পুরোপুরি থিতু হয়নি, আর দীপ্তির থ্রো করাই বুঝিয়ে দেয়, সব খেলোয়াড় বলটিকে ‘ডেড’ মনে করেননি। তাই বল তখনো খেলার মধ্যে ছিল।”
মন্তব্য করুন