সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রাইভেটকার থামিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে, সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সয়দাবাদ ও কড্ডার মোড়র এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের রহম আলী শেখের ছেলে মো. বাবু (৩৪) ও নতুন সয়দাবাদ গ্রামের শহিদের ছেলে সাহা (২৯)।
র্যাব জানায়, রাতে মহাসড়কে প্রাইভেটকার থামিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহ আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাবুর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও দস্যুতার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১৫টি ও সাহার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার পূর্বচর পাকেরদহ গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে রংপুর থেকে প্রাইভেটকারে ফিরছিলেন। ফেরার পথে তারা যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঐল ওভার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতির কবলে পড়েন তারা। ডাকাতদের আক্রমণে জাহিদুল ইসলাম ও তার মেয়ে জান্নাতুল গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে জামালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার তিন দিন পর আমরা ভিকটিমদের খুঁজে বের করেছি। তারা একই পরিবারের সদস্য।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঐল ওভার ব্রিজ এলাকায় প্রাইভেটকার থামিয়ে লুটপাট চালায় দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ঘটনার সময় অন্য একটি গাড়িতে থাকা ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নিয়ে কালবেলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় গত রোববার (৫ অক্টোবর) যমুনা সেতু পশ্চিম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রমজান আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন