

প্রবাসে থাকলেও এখন রাজনীতির মাঠ সরগরম রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম মিঠুকে ঘিরে। মূলত কল্যাণমুখী রাজনীতি ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
তরুণ এই রাজনীতিকের পরিবার বিএনপির আদর্শে বেড়ে উঠেছে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গার্ড রেজিমেন্টের সদস্য। জিয়াউর রহমানের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তার মরদেহ সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া এবং দাফন কাজে অংশ নেন মিঠুর বাবা। এরপর থেকেই তাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিনুল ইসলাম মিঠু ছাত্রদল থেকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে যুবদল হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন ২০০০ সালে। ১৯৯৮ সালে রাজনৈতিক কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কায় দেশ ছেড়ে কুয়েতে যান তিনি। বিএনপি সরকার গঠনের পর দেশে ফিরে এলেও ২০০৬ সালে ফের বিদেশে যেতে বাধ্য হন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একাধিকবার হয়রানির শিকার হয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন।
রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি পরিচিত ‘মানবিক মিঠু’ নামে। তার উদ্যোগে চন্ডিপুর বাজারে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের যোত্রাঘু মসজিদ সংস্কারসহ এলাকায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। বিদেশি সংস্থার সহায়তায় তিনি হাজারের বেশি টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন।
এ ছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় দরিদ্রদের মধ্যে পোশাক ও খাদ্য বিতরণ, শীতেবস্ত্র বিতরণ, রমজানে ইফতার আয়োজন ও কোরবানির ভোজনের ব্যবস্থা করে আসছেন তিনি। নিজ অর্থায়নে অসহায়দের জন্য ব্যাটারি চালিত ভ্যান, এমনকি বাড়ি নির্মাণের সহায়তাও করেছেন। সম্প্রতি চকরাজাপুরে ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এবং ৫০টি পূজা মণ্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন মিঠু।
প্রবাসে থেকেও এলাকার মানুষের পাশে থেকে মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রাজশাহী-৬ আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিএনপির তরুণ এই সম্ভাবনাময় নেতা আমিনুল ইসলাম মিঠু।
এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে মিঠু বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে রাজনীতিতে এসেছি। মানুষের সেবায় থাকলেই আমি মানসিক শান্তি পাই। তৃণমূলের মানুষের উন্নয়নে প্রযুক্তিনির্ভর এলাকা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মানুষ ঘরে বসেই আয় করতে পারবে। দল যদি যোগ্য মনে করে আমাকে প্রার্থী করে, আমি নির্লোভভাবে দলের জন্য কাজ করে যাব।
মন্তব্য করুন