গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, এই সরকার আবারও বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। তবে এ দেশে আর কোনো একতরফা নির্বাচন হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারকে আরেকটু ধাক্কা দিলেই তারা পড়ে যাবে। ওদের ভয় দেখানোর অস্ত্রটা ভোঁতা করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে আন্দোলন আরও উত্তাল হবে। সরকার যদি তপশিল ঘোষণার চেষ্টা করে, একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করে, জনগণ রাজপথে নেমে গলায় গামছা বেঁধে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণতির মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটবে। আগামীতে কোনো ফ্যাসিবাদী মহলকে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, দমন-পীড়ন করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের জন্য জনগণ তৈরি হয়েছে, আন্দোলন-সংগ্রাম আরও বেগবান করা হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন বলেন, এই সরকার ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তার জন্য আইন-কানুন, বিচার বিভাগসহ গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে লুটপাট ও পাচারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এই সরকারকে আর একদিনও ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তারা লুটপাটের সিন্ডিকেট করে বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং লুটপাটের মাফিয়া সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার জন্য আরও একবার নীলনকশার নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
পরে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে হাটখোলা সড়ক-সালাউদ্দীন হাসপাতাল মোড় হয়ে টিকাটুলি গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন