বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারের পদত্যাগ ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টন আজ (বুধবার) বিএনপির সমাবেশ রয়েছে। আর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসা-বাড়ি, হোটেল থেকে বিএনপির ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটকে খবর পেয়েছি আমরা।
আটক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তাতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নাজমুল আলম নাজু, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নেওয়াজ চৌধুরী শাওন, কালীগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা তোফাজ্জল হোসেন মফা, কালিয়াকৈর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সরকার তুহীন, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সেলিম, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আমিন, পাবনা উপজেলা কৃষকদলের নেতা মো. রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী সোহেল ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পলাশ।
যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকায় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণসমাবেশটি মহাসমাবেশের আদলে অনুষ্ঠিত হবে। বিপুল উপস্থিতি ঘটিয়ে সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, কৃষক সমাবেশ, যুবসমাবেশ, শ্রমিক কনভেনশন, ছাত্র কনভেনশনের মতো সিরিজ কর্মসূচি করেছে দলটি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
মন্তব্য করুন